শেষদিনে দুটো সেঞ্চুরি অথবা বৃষ্টির অপেক্ষায় সাকিব!

ক্রিকেট, খেলা

এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চট্টগ্রাম থেকে | 2023-08-28 15:10:33

চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটা বাংলাদেশের ২১৫ রানের। সেই ম্যাচেও ব্যাট হাতে নায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গ্রানাডায় জয়ী সেই টেস্ট ম্যাচে সাকিবের ব্যাট হেসেছিলো অপরাজিত ৯৬ রানের আনন্দে।

চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে শেষদিনে বাংলাদেশের চাই আরো ২৬২ রান। সাকিব এখনো অপরাজিত। খেলছেন ৩৯ রান নিয়ে। সঙ্গীর সংখ্যাও কমে এসেছে। এবার লক্ষ্যমাত্রাও অনেক অনেক বেশি।

এই টেস্ট নিয়ে সাকিবের বাস্তব চিন্তা কি?

সমস্যা নিয়ে বেশি চিন্তায় পড়া সাকিবের ধাঁত নয়। তবে টার্গেট তা সে যতই কঠিন হোক না কেন- চেষ্টাটা যেন হয়। এটাই সাকিবের শেষ কথা। সবাই তো আর সব ম্যাচ জিততে পারে না। তবে অন্তত চেষ্টা করবে শেষ পর্যন্ত। হয়ে গেলো ভালো। না হলে জীবন শেষ-এমন কিছু নয়। সামনে তো আরো সময় আছে। জীবনের ক্ষেত্রফল নেহাৎ ২২ গজ নয়। আরো অনেক বড়।

বৃহৎ সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজের ক্রিকেট এবং জীবনধারা গড়ে তুলেছেন সাকিব। সেই দার্শনিক চিন্তা থেকেই বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছেন-‘ ৩৯৮ রান তাড়া করতে নেমে আমরা যখন ৩০ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চে গেলাম, তখন পর্যন্ত মনে হয়েছিল সম্ভব। কারণ উইকেটটা এখনো খারাপ হয়নি। যথেষ্ট ভাল আছে। রিস্ট স্পিনাররা ওদের বাড়তি সুবিধা পাবেই যেটা যেকোনো ফ্লাট উইকেটেই পায় চতুর্থ বা পঞ্চম দিনে। কিন্তু উইকেটটা আনপ্লেয়েবল না। আমার মনে হয় আমরা ভালো অনুমান কিংবা বড় মন নিয়ে যদি খেলতে পারতাম তাহলে আরও বেটার কিছু করা সম্ভব হত। আমি যেমন টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগেই বলেছিলাম ব্যাটসম্যানরা এই টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। উইকেট হয়ত আমরা যেমন চেয়েছিলাম তেমন পাইনি। তার অর্থ এই না যে আমরা ভেঙ্গে পড়বো। এখানে আমাদের কোয়ালিটি শো করার জায়গা ছিল কিন্তু আমরা পরিষ্কারভাবে ফেল করেছি।’

চট্টগ্রাম টেস্ট ম্যাচের শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত শেষ হওয়া চতুর্থদিন পর্যন্ত আফগানিস্তানই রাজত্ব করে গেছে। প্রায় প্রতিটি সেশনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই ছিলো। বাংলাদেশ প্রতিটি পদক্ষেপেই ব্যাকফুটে।

স্বাগতিকদের জন্য তাহলে পঞ্চমদিন অপেক্ষা করছে হার?

প্রশ্নটা শুনে সাকিব হাসলেন।

-কতো রান দরকার আর আমাদের, অধিনায়কের উল্টো জিজ্ঞাসা।
খানিকপরেই উত্তরটাও নিজেই দিলেন-‘২৭০ রান দরকার তো। আমাদের দুজনকে (আরেকজন সৌম্য) একশো একশো করতে হবে। ঠিক একশো একশো না, একজনের চাই ১২০ আরেকজনের ১৫০ করা লাগবে!

-সম্ভব, সেটা শেষ দিনে?

সংবাদ সম্মেলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে থাকা সাকিবের উত্তর-‘দুনিয়াতে কিছুই অসম্ভব নয়। দেখা যাক না কি হয়! আরেকটা উপায় আছে, উপরে বৃষ্টি। ওটাও আমাদের বাঁচাতে পারে। বেশ কয়েকটা পথ আছে। এখন বাকিটা দেখা যাক।’

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চমদিনে বৃষ্টি এখন তাহলে বাংলাদেশের পরম বন্ধু!

এ সম্পর্কিত আরও খবর