ভয় তাড়িয়ে বড় মন নিয়ে খেলতে হবে-বলছেন সাকিব

ক্রিকেট, খেলা

এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর. কম, চট্টগ্রাম থেকে | 2023-09-01 18:34:12

মাত্র তৃতীয় টেস্টে খেলতে নামা আফগানিস্তান পারছে। আর ১১৫ তম টেস্টে এসেও কেন পারছে না বাংলাদেশ?

সাকিবের ব্যাখ্যা কি? সমস্যাটা কোথায়?

উত্তরটা সাকিবের কাছ থেকেই শুনি- ‘আমি বলব না কারও অ্যাপ্রোচে সমস্যা আছে। আমি বলব এক্সিকিউশনে (প্রয়োগে) অনেক সমস্যা। বড় মন নিয়ে খেলতে না পারাটা একটা সমস্যা। প্রয়োগ করতে না পারার একটা সমস্যা হচ্ছে। আর যখন আপনি ভয়ে ভয়ে মারতে যাবেন তখন প্রয়োগে সমস্যা। দেখুন লিটন যখন টি-টুয়েন্টিতে খেলে তখন রিভার্স সুইপ কেন, যত শটই খেলে ওর লাগে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচে ও এটা করতে পারেনি। এটা ওরও ব্যর্থতা, আমাদের দলের জন্যও ব্যর্থতা যে আমরা এরকম করতে পারছি না। কোচও এই কথাই বলেছে যে আমরা যেন মন খুলে খেলি। আমার কাছে মনে হয়েছে আমরা অনেক ভয় নিয়ে খেলি, অনেক চাপ নিয়ে খেলি। আসলে দিন শেষে এটা একটা ক্রিকেট ম্যাচ, অবশ্যই আমাদের জন্যে এটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুনিয়ার সব কিছুই এটা না। অথচ আমরা অনেক সময় এরকম ভেবে যা করি, এত বেশি চাপ নিয়ে ফেলি; তখন পারফর্ম করা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়। এবং যখন করতে পারি না তখন চাপটা আরও বেশি পড়ে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ‘আউট অব দ্য বক্স’ অনেক সিদ্ধান্তই নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ম্যাচের মধ্যেই ওপেনিং জুটিতে বদল। প্রথম ইনিংসে সাদমান ও সৌম্য ওপেন করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সাদমানের সঙ্গে এসেছেন লিটন দাস। উভয় ইনিংসে ওয়ানডাউন পজিশনেও বদল হয়েছে। মুমিনুল হক এই প্রথম কোনো টেস্ট ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামলেন। ব্যাটিং অর্ডারে এতো নিচে আগে কখনোই দেখা যায়নি তাকে। পেসারবিহীন একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরও কোনো কিছুতেই তো কাজ হলো না।

বাস্তবতা বলছে এই ম্যাচ হারতে চলেছে বাংলাদেশ। এতো যে অদল-বদল হলো এসবের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে সাকিব বলছিলেন-‘চারশ রান তাড়া করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আউট অব দ্য বক্স কিছু চিন্তা করতে হবে। আমরা তো এর আগে কখনো চারশ রান তাড়া করিনি। যদি দুইশ রান তাড়া করতাম তাহলে আমাদের ব্যাটিং অর্ডারে হয়তো বদল আনতাম না। যেহেতু চারশ রান তাড়া করছিলাম তাই আমাদের কিছু প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিলো। আসলে ভালো করার ইচ্ছেতেই যে কোনো পরিকল্পনা করা হয়। যখন পরিকল্পনা কাজে আসে তখন বলা হয়, ওয়াও কি দুর্দান্ত পরিকল্পনা ছিলো। যখন কাজে আসে না তখন সবাই মনে করে আহা রে পরিকল্পনাটা ভুল ছিলো!’

বাংলাদেশ অধিনায়ক তার দলের সামর্থ্যের অভাব দেখছেন না। তবে সেই সামর্থ্য শুধু পুষে রাখলে তো চলবে না। তার প্রমাণ মাঠেই রাখতেই হবে। দলের খেলোয়াড়দের সেই চ্যালেঞ্জই ছুঁড়ে দিচ্ছেন সাকিব-‘একটা বিষয় হলো আপনার ট্যালেন্ট আছে এবং সেটা মাঠে প্রদর্শনও করা। আরেকটি ব্যাপার হলো ট্যালেন্ট আছে কিন্তু সেটা কখনো দেখাতে না পারা। একটা খুবই সূক্ষ্ম- একটা পার্থক্য। কিন্তু এটাই বড় খেলোয়াড় আর ছোট খেলোয়াড়দের আলাদা করে দেয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর