দলের অনেকেই ব্যর্থ। তবে সেই ব্যর্থতার কাতারে সৌম্য সরকারের ব্যাট একটু বেশি ম্রিয়মান!
পেছনের ১০ ম্যাচে কোনো হাফসেঞ্চুরি নেই তার। দলের ওপেনার। লম্বা সময় হাতে থাকে ইনিংস লম্বা করার। কিন্তু টানা দশ ম্যাচে তার সাকুল্যে রান ১৯২। গড় ১৯.২০ মাত্র। সর্বোচ্চ ৪২।
ব্যর্থতার বলয়ে ঘুরছেন সৌম্য সরকার বিশ্বকাপ থেকেই। শ্রীলঙ্কায় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেও সেই ‘ব্যক্তিগত সঙ্কট’ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি এই ওপেনার। শুধু সৌম্য নয়। একে একে এমন আরো ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার যোগফলেই সমষ্টিগতভাবেই সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্যহীন বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেই সিরিজ হেরে বসেছে দল। দুটো ম্যাচেই বাংলাদেশ দলীয়ভাবে যে ব্যাটিং করেছে তার একটাই নাম-ভঙ্গুর ব্যাটিং।
যে ফিল্ডিং করেছে তা নিয়ে হাসাহাসি পড়ে যাচ্ছে। বোলিংটাও যে যুতসই কোনোকিছু হয়েছে- সেটাও মানার উপায় নেই। হঠাৎ করেই এই সিরিজে বাংলাদেশ দলকে মনে হচ্ছে ক্লান্ত-শ্রান্ত দুর্বল চিত্তের একটা ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ হিসেবে শ্রীলঙ্কা যেখানে অনেক শক্তিমান।
প্রথম ম্যাচে ৯১ রানে হার। এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের আরেকটি বড় হারে সিরিজ হার সম্পন্ন।
হঠাৎ করে কেন এবং কি কারণে এমন শ্রী-হীন হয়ে গেলো বাংলাদেশের ক্রিকেট?
উত্তর যার কাছে চাওয়া হলো সেই সৌম্য সরকার প্রথমে নিজের অফফর্মের প্রসঙ্গে বললেন-‘১০টা ম্যাচ হয়ে গেলো কোনো ফিফটি পর্যন্ত পাচ্ছি না। একটা আমার কাছে খারাপ লাগছে। চেষ্টা তো অবশ্যই করছি। অনুশীলন করছি। যেখানে যা কাজ করার প্রয়োজন সেটা করছি। কেন যে হচ্ছে না, সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এখন একটাই লক্ষ্য এখান থেকে ঘুরে দাড়ানোর।’
আর সামগ্রিকভাবে পেছনের চার ওয়ানডেতে দলের ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সৌম্যের ব্যাখাটা এমন-‘বিশ্বকাপে আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেটা ধরে রাখতে পারিনি। ওখানে শেষ দুই ম্যাচ হেরে আমরা পিছিয়ে গিয়েছি। বিশ্বকাপ থেকে ফিরে আমরা সবাই ঘুরে দাড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি মানসিকভাবে। ঐ চিন্তা নিয়েই আমরা এখানে এসেছি। কিন্তু কোনো কারণে আমরা সেটা করতে পারিনি। কোথাও একটা ভুল হচ্ছে, একত্রিতভাবে। তাই এই ব্যর্থতা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়, ঘুরে দাড়ানো যায় সেটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে আমরা কথা বলছি। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলনে যাচ্ছে এখন। সবকিছু মিলে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
জিতলেও লাভ নেই। সিরিজ হার তো আগের ম্যাচেই সম্পন্ন। এমন অবস্থায় সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে খেলতে নামা দল অনুপ্রেরণা পাবে কিভাবে?
তবে সৌম্যের মতামত ভিন্ন-‘আমরা প্রথম দুটো ম্যাচে হেরে সিরিজে হেরে গেছি। কিন্তু আমাদের এখন লক্ষ্য শেষ ম্যাচটিতে ভালোভাবে ঘুরে দাড়ানো এবং প্রমান করা যে আমরা ভালো দল।’
৩১ জুলাই কলম্বোর প্রেমাদাসায় শেষ ম্যাচে সেই প্রমাণই রাখতে চায় বাংলাদেশ!