বিশ্বকাপ থেকে ভারতীয় দলের বিদায়ের কারণ খুঁজতে গিয়ে প্রকাশ্যে এসেছে রীতিমতো চাঞ্চল্যকর তথ্য! ইংল্যান্ডে টুর্নামেন্ট চলাকালীন ভারতীয় দল ভাগ হয়েছিল দুই শিবিরে। একটি দল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি ও তার অনুগতরা। অন্যপক্ষে রোহিত শর্মা ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ক্রিকেটার!
এমন অন্তর্দ্বন্দ্বেই দল ব্যর্থ-জানিয়েছে ভারতের একটি হিন্দি ভাষার দৈনিক।
তারপর থেকে এই প্রসঙ্গটি নিয়ে মেতে আছে দেশটির গণমাধ্যম। সেখানেই প্রকাশ পাচ্ছে বিরাট কোহলি আর কোচ রবি শাস্ত্রীর নানা অনিয়মের কথা। দলে একাধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছেন তারা দু'জন। কোন কিছু নিয়েই অন্যদের সঙ্গে কথা বলেন না তারা। নিজের মতো করেই নিয়ে নেন সিদ্ধান্ত। খোদ সহ-অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন মনে করেন না কোহলি-শাস্ত্রী!
বিশ্বকাপ চলাকালীন অধিনায়ক ও কোচ মিলেই নাকি নিয়েছেন একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তাতেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে দলে। তাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রশাসনিক কমিটির প্রধান বিনোদ রাই।
বিরাট ও শাস্ত্রী মিলেই নাকি বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন আম্বাতি রাইডু আর আজিঙ্কা রাহানেকে। আবার লোকেশ রাহুলকে পুরো সমর্থন দিয়েছেন কোহালি-শাস্ত্রী! এ কারণে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলেও দলে থেকে টিকে যান এই ব্যাটসম্যান।
একইভাবে যুবেন্দ্র চাহালই ছিলেন তাদের পছন্দের শীর্ষে। বিরাটের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলেন চাহাল। এ জন্যই কুলদীপ যাদবকে থাকতে হয়েছে ডাগআউটে। জাসপ্রীত বুমরাহও পছন্দের নয় কোহলিদের। কিন্তু এই বোলার শ্রেফ পারফরম্যান্সের কারণেই নাকি টিকে গেছেন একাদশে! একইভাবে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে আলোচনায় থেকে গেছেন রোহিত!
এটাও ঠিক বিরাট আর রোহিতের দ্বন্দ্বের খবর নতুন নয়। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিরাট কোহলিকে আনফলো করে শিরোনামে আগেই আসেন রোহিত। এমন কী বিরাটের স্ত্রী আনুশকা শর্মার সঙ্গেও নাকি কথা বলা বন্ধ রোহিতের স্ত্রী রিতিকার।
এটা অনেকটাই পরিষ্কার বিশ্বকাপ চলাকালীন ভারতীয় দল এক সুতোয় গাঁথা ছিল না। এটা বুঝতে পেরেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডও। বিরাট কোহলিরা ফিরলেই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেমি-ফাইনাল থেকেই ছিটকে যাওয়ায় বোর্ডের তোপে অচিরেই পড়তে যাচ্ছেন অধিনায়ক কোহলি আর কোচ শাস্ত্রী!