জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বুধবার সকালে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন মিশেল প্লাতিনি। বেশ কয়েকটি মেজর ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক স্বত্ব প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ফরাসি পুলিশ। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ. ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ, ২০১৬ ফ্রান্স ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, উয়েফা, ফিফা ও প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) নিয়েও প্লাতিনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব প্রদানে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার প্যারিসের পশ্চিম শহরতলী থেকে আটক হন প্লাতিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুডিশিয়্যাল পুলিশের দুর্নীতি দমন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় উয়েফার সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে।
ফরাসি ফুটবল কিংবদন্তি প্লাতিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব পেতে কাতারকে সহায়তা করেন। কাতারের নাম চূড়ান্ত করার আগে প্লাতিনি গোপনে সভা করেন সাবেক কাতার ফুটবল প্রশাসক ও তৎকালীন এএফসির প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ বিন হাম্মামের সঙ্গে। সেকথা স্বীকারও করেন প্লাতিনি।
ফিফার সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নার দাবি করেন-ঘুষের বিনিময়ে কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজন করার সুযোগ করে দিয়েছেন প্লাতিনি।
ফুটবলে দুর্নীতির কারণে ছয় বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে ২০১৫ সালে উয়েফার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান ৬৩ বছরের সাবেক এ ফুটবল কর্মকর্তা। পরে কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টে আপিল করলে নিষেধাজ্ঞা শাস্তি চার বছরে নেমে আসে। এ বছরের মার্চেই শেষ হয়েছে প্লাতিনির সেই শাস্তির মেয়াদ।