বেশ কিছুদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের রোমাঞ্চের মেতেছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে খেলা হবে কী না তা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। বিশ্বকাপের চারটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ায় ভক্ত-সমর্থকদের ভয়টা বেড়ে গিয়ে ছিল। শেষমেশ খেলা শুরু হলেও বৃষ্টি এসে ঠিকই বাগড়া দিয়ে বসেছে ভারতীয় ইনিংসের শেষ দিকে এসে।
বৃষ্টির বাধার পর ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তুলে ভারত। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগের সেরা ছিল গত আসরের ৭ উইকেটে ৩০০ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে আগের সর্বোচ্চ ছিল এবারই নটিংহ্যামে ইংল্যান্ডের ৯ উইকেটে ৩৩৪।
রোববার ওল্ড ট্রাফোর্ডে স্নায়ু চাপের ম্যাচে টস হেরে শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যায় ভারত। কিন্তু তাদের ব্যাটিং স্কোর ঠিক প্রত্যাশা মাফিক হয়নি।
শুরুতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের আভাস দিলেও ভারতের ব্যাটিং প্রতিরোধের দেওয়াল ভাঙতে পাকিস্তানের লেগে গেছে ২৩.৫ ওভার। ওপেনার লোকেশ রাহুল ফিরলেও দলীয় স্কোরে যোগ করে গেছেন ৫৭ রান।
১৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন রোহিত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ২৪তম সেঞ্চুরি। ৭১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ছয় ম্যাচ খেলে কখনোই হারেনি ভারত। আজ রেকর্ডটা আরো একধাপ বাড়িয়ে নিতে মাঠে নেমেছে মেন ইন ব্লু শিবির। চলতি বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত অজেয় থেকে যাওয়া ভারত জয়রথটা চালিয়ে যেতে চায়।
বিশ্বকাপে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত পাকিস্তান প্রস্তুত দুঃস্বপ্ন ঝেড়ে ফেলতে। ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটিং ও বোলিং-র বিপক্ষে জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে এখন তারা। তাই জয় খরা কাটানোর দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ময়দানের লড়াইয়ে নেমেছে পাকিস্তান।
তিন ম্যাচের দুই জয়ে (দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) ৫ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে এখন অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভারত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি অবশ্য ভেসে গেছে বৃষ্টিতে।
ভারতীয়দের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে এক জয় (ইংল্যান্ডের বিপক্ষে) ও দুই হারে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে) ৩ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে ক্যাপ্টেন সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের ম্যাচ বৃষ্টিতে মাঠে গড়ায়নি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (রাহুল ৫৭, রোহিত ১৪০, কোহলি ৭৭, পান্ডিয়া ২৬, ধোনি ১, শঙ্কর ১৫*, কেদার ৯*; আমির ৩/৪৭, হাসান ১/৮৪, ওয়াহাব ১/৭১)