দেশের মাঠে বিশ্বকাপ! প্রত্যাশার চাপ তো থাকছেই। কিন্তু সেই চাপ উড়িয়ে দিতে তাদের বড় অনুপ্রেরণার নাম অস্ট্রেলিয়া। অজিদের কাছ থেকেই জো রুট পেয়েছেন সাফল্যের মন্ত্র! বিশ্বকাপের আসল লড়াইয়ের আগে শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচে সেই দলটির সঙ্গে লড়বে ইংল্যান্ড। তার আগে অ্যারন ফিঞ্চের দলের প্রশংশায় পঞ্চমুখ রুট।
অবশ্য বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে কোন প্রশংসাই বুঝি যথেষ্ট নয় অস্ট্রেলিয়ার। ১১ বিশ্বকাপের পাঁচটিই যাদের দখলে তাদের তো সমীহ করতেই হবে। এবারও শিরোপায় চোখ রেখেই ইংল্যান্ডে পা দিয়েছে দলটি। লড়াই শুরুর আগে স্বাগতিকদের সঙ্গেই শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচ।
তার আগে অজি বন্দনাই শোনা গেল জো রুটের গলায়। ওদের কাছেই চাপ কাটিয়ে সাফল্যের মন্ত্র পেলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। বলছিলেন, ‘বলার অপেক্ষা রাখেনা অস্ট্রেলিয়া বরাবরই শক্তিশালী এক দল। প্রতিটি বিশ্বকাপেই ফেভারিট হয়ে পা রেখেছে ওরা। তারা র্যাঙ্কিংয়ের কতো নম্বরে সেই গল্প না করলেও চলে। ব্যাটিং-বোলিং দুটোরই গভীরতা বেশ। খেয়াল করলে দেখবেন প্রতিবারই চাপের মুখে বিশ্বকাপ জিতেছে ওরা। অস্ট্রেলিয়ার কাছে শেখার শেষ নেই!’
২০১৫ বিশ্বকাপ হতাশার অন্যনাম হয়েই থাকবে ইংল্যান্ডের। বাংলাদেশের কাছে হেরে কোয়ার্টার ফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছিল দলটি। তারপর গত চার বছরে নতুন করে জেগে উঠেছে তারা। এউইন মরগানের নেতৃত্বে ইংল্যান্ড এখন নাম্বার ওয়ান দল। নিজেদের মাঠে তাইতো শিরোপায় চোখ রেখেই নামছে তারা।
নিজেদের মাঠে এই বিশ্বকাপের ‘গল্প’ বদলে দিতে চান জো রুট! প্রথমবারের মতো দেশকে এনে দিতে চান বিশ্বকাপ ট্রফি!
মিশন শুরুর আগে রুট জানাচ্ছিলেন, ‘শেষ চার বছরে আমাদের পরিশ্রমের গল্পটা আপনাদের জানাই আছে। আমরা আজ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। এর পেছনে আছে সবার অক্লান্ত পরিশ্রম। আমরা এই বিশ্বকাপটা উপভোগ করতে চাই। বিশ্বকাপ জিততে হলে ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই। লম্বা টুর্নামেন্ট, একটানা জিততে চাই আমরা। এবারের বিশ্বকাপে বিশেষ কিছু করতে চাই।’
আর সেই জয়ের পথে অজিদের হারানোটাও লক্ষ্য ইংল্যান্ডের। ফিঞ্চের দল এবার আছে র্যাঙ্কিংয়ের পাঁচ নম্বরে। বাজে একটা সময় কাটিয়ে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর পথে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার।
ফের ক্রিকেট মাঠে তাদের দেখে খুশি জো রুট। বলছিলেন, ‘অজিরা তাদের সেরা দুই ক্রিকেটারকে (স্মিথ ও ওয়ার্নার) ফিরে পেয়েছে। আমার ধারণা বিশ্বকাপ তাদেরকে হতাশ করবে না। তবে আমরা হারাতে চাই অস্ট্রেলিয়াকে। ওদের হারানোটা মধুর স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
বিশ্বকাপের প্রথম দিনই ৩০ মে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকার। তার আগে শনিবার অজিদের বিপক্ষে লড়াইয়ের পর ২৭ মে ফের মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।