নিজেদের মাঠে ফেভারিট হয়েই খেলতে নেমেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বার্সেলোনার বিপক্ষে এই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আগের চারবারের দেখায় দুবারই জিতেছিল স্বাগতিকরা। বাকী দুইবার ড্র। এবার সেই ছক উল্টে দিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ম্যানইউর মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এই জয়ে স্প্যানিশ জায়ান্টরা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্টত্বের লড়াইয়ে সেমিতে ওঠার পথে এগিয়ে গেলো।
গোটা মৌসুম জুড়েই অবশ্য এবার ম্যানইউকে ঠিক সেভাবে চেনা যায়নি। অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে গেছে রেড ডেভিলরা। নিজেদের সামর্থ্যের কথা ভেবেই কীনা কে জানে ওলে গার্নার শোল্কজায়ের বেছে নিয়েছিলেন রক্ষণাত্মক ফুটবল কৌশল! কিন্তু এই ট্যাকটিস যুতসই হয়নি। খেলার ১২তম মিনিটে আত্মঘাতী গোলে সর্বনাশ তাদের!
ম্যানইউর ডি-বক্সে লুইস সুয়ারেসকে বল পাস দেন লিওনেল মেসি। সুয়ারেসের প্রচেষ্টা লুক শ’র গায়ে লেগে পেরিয়ে যায় গোললাইন! যদিও অফসাইডের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সহকারী রেফারি। কিন্ত ভিএআরের সাহায্যে মাঠের রেফারি গোলের লম্বা বাঁশি বাজান।
খেলার ৩১তম মিনিটে ভয় ধরে গিয়েছিল বার্সা সমর্থকদের মনে! ম্যানইউর ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিংয়ের সঙ্গে সংঘর্ষে নাকে চোট পান মেসি। রক্ত ঝরতে থাকে অবিরাম। এরপর অবশ্য কিছুক্ষণ চিকিৎসা নিয়ে মাঠে ফিরে আসেন বার্সা অধিনায়ক।
এরমধ্যে অবশ্য আরো এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বার্সার। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেন নি দলটির ফরোয়ার্ডরা। বিশেষ করে ফিলিপে কৌতিনিয়োর দৃষ্টিকটু মিস কষ্ট দিয়েছে ভক্তদের। দ্বিতীয়ার্ধে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি সুয়ারেসও।
এরমধ্যে নিজেদের মাঠে গোল শোধের চেষ্টা করে গেছে ম্যানইউ। কিন্তু তাদের চেষ্টা সফল হতে দেননি বার্সার রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। শেষ অব্দি হতাশা নিয়েই মাঠ ছঅড়তে হয় তাদের। তবে আগামী মঙ্গলবার প্রতিশোধের সুযোগ মিলবে। বার্সেলোনার মাঠে ফিরতি পর্ব জয় চাই তাদের। আর ড্র করলেই সেমিতে উঠে যাবে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা।
এদিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বুধবার রাতের আরেক মাচে আয়াক্সের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে জুভেন্টাস। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফেরায় কিছুটা এগিয়ে থাকলো ইতালিয়ান জায়ান্টরা।