অভিষেক-মার্করামের তাণ্ডবে মুস্তাফিজের চেন্নাইকে হারাল হায়দরাবাদ 

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম | 2024-04-06 00:10:54

১৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মারকুটে ব্যাটারদের জন্য যা নেহায়েতই মামুলি। যা কথা তাই কাজ। ট্রাভিস হেড, এইডেন মার্করাম ও অভিষেক শর্মাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে ১৮ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। ৬ উইকেটের এই জয়ে আসরের চার ম্এযাচের দুটিতে জয়ের দেখা পেল ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। টানা দুই ম্যাচ জয় দিয়ে আসর শুরু পর টানা দুই ম্যাচে হারল মুস্তাফিজ-ধোনিদের চেন্নাই সুপার কিংস। 

আসরের শুরুর দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দে থাকেলও পরের দুই ম্যাচে এসে ট্র্যাক হারায় চেন্নাই। এতেই টানা দুই ম্যাচে হারের মুখ দেখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

হায়দরাবাদের মাঠে ম্যাচটির আগের দিনে ঘটে বিরল এক ঘটনা। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে কেটে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে সেসব ছাপিয়ে যথাসময়ে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৫ রান তোলে চেন্নাই।

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুর তিন ওভারে চলে অভিষেক শর্মা ‘শো’। ওপেনিং জুটিতে স্রেফ ১৬ বলেই আসে ৪৬ রান। এর মধ্যে ১২ বলে ৩৭ রানই অভিষেকের। ঝোড়ো শুরুর পর মার্করামকে নিয়ে তা ধরে রাখেন আরেক ওপেনার হেড। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে আসে আরও ৬০ রান। এতে ৯ ওভার ৪ বল শেষে ২ উইকেটে ১০৬ রআন তুলে ফেলে হায়দরাবাদ। সেখানেই গড়ে যায় জয়ের ভিত। পরে ৫০ রান করে মার্করান ফিরলেও বাকি ব্যাটাররা সহজেই দলকে পৌঁছান জয়ের ডেরায়। চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মঈন আলী। 

আগের তিন ম্যাচেই চেন্নাইয়ের একাদশে ছিলেন মুস্তাফিজ। সেখানে ৭ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হিসেবে। পরে মোহিত শর্মা সমান উইকেট তুলে মুস্তাফিজকে ছাড়িয়ে পৌঁছান শীর্ষে। শুরুটা ভালো হলেও চতুর্থ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলা হলো না মুস্তাফিজে। না, কোনো চোট বা ফর্মহীনতা নয় ভিসার কাজে বাংলাদেশের ফেরায় এ ম্যাচে একাদশে বাইরে ছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র। তবে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়, আজিঙ্কা রাহানে ও শিবাম দুবের নৈপুণ্যে সেই চাপ বেশ ভালোভাবেই সামাল দেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টপ-অর্ডারদের ব্যাটিং ছন্দে ১৪ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে তখন ৩ উইকেটে ১২০ রান। এতে সংগ্রহ ২০০-এর পথেই এগোচ্ছিল চেন্নাই। 

তবে শেষ ৬ ওভারে রানের গতি চলে যায় মেরুর ঠিক উলটো দিকে। সেখানে স্রেফ ৫টি চার মারে চেন্নাইয়ের ব্যাটাররা। নেই কোনো ছক্কার মার। হাতে উইকেট সংখ্যা বেশি থাকলেও শেষ ৩৬ বলে আসে স্রেফ ৪৫ রান। শেষ দিকে রানের এই ধীর গতিতেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন উড়িয়ে ১৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় চেন্নাই। সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন দুবে, এছাড়া রাহানের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। 

রান তাড়ায় শুরুতে আগুন ঝরানো ব্যাটিংয়ে ১২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৭ রান করা সেই অভিষেকের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর