রাতে প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ স্পেন। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আড়াইটায়। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচটি মূলত, তার ওপর হওয়া বর্ণবাদের প্রতিবাদ স্বরূপই। নিজের জন্য ম্যাচ আয়োজন তাও নিজের ক্লাবের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এমন দিনে খুশি না হয়ে বরং কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভিনি।
নিজের জন্য ম্যাচ আয়োজনের কারণে খুশি হওয়ার কথা থাকলেও বর্ণবাদের ভয়াবহতা জানাতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ভিনি। সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনি জানালেন কতটা ভয়ঙ্কর কষ্টে কাটছে তার দিন। জানিয়েছেন, তার ওপর হওয়া বর্ণবাদের কারণে ফুটবল খেলার ইচ্ছেটাই মরে যাচ্ছে তার।
এর আগে অবশ্য গত রোববারই ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হওয়া সেই ম্যাচে জয়ও পেয়েছে ১-০ গোলে। তাই স্পেনের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ আত্মবিশ্বাসী ব্রাজিলের পুরো দল। এই ম্যাচ দিয়েই ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি সারতে হবে। কেননা, এর পর কোপা আমেরিকার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে ব্রাজিল। সেখানে অবশ্য কোপা শুরুর আগে ম্যাক্সিকো ও স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। তবে স্পেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হওয়ায় ব্রাজিলের মূল প্রস্তুতিটা হবে এই ম্যাচ দিয়েই।
ফুটবলে সহিংসতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে স্পেন ও ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের প্রতিশ্রুতি জোরদার করার লক্ষ্যে ‘ওয়ান স্কিন’ স্লোগান নিয়ে ম্যাচটি আয়োজন করতে যাচ্ছে স্পেন। সেই ম্যাচের আগে বর্ণবাদের শিকার হওয়া নিয়ে ভিনি বলেন, ‘আমার খেলার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছি, কারণ যারা আমাকে মানসিক নির্যাতন করেছে তাদের শাস্তি বা নিবৃত্ত করার জন্য কিছুই করা হয়নি। আমি অনেক দিন ধরেই এটার (বর্ণবাদ) মুখোমুখি হচ্ছি। প্রতিবারই আরও বেশি দুঃখ লাগে। প্রতিবারই খেলার ইচ্ছাটা আরেকটু মরে যায়।’
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলতে গিয়ে বর্ণবাদের শিকার হলেও ক্লাবকে ছাড়তে চান না ভিনি। বলেন, ‘বর্ণবাদীরা যা খুশি করতে পারে। আমি বিশ্বের সেরা ক্লাবেই থাকব, যত বেশি সম্ভব গোল করব, সেটা তারা (বর্ণবাদী) যেন দেখে। ফুটবল খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই, কৃষ্ণাঙ্গরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করুক, সেটা নিশ্চিত হলে ক্লাবের হয়ে শুধু খেলাতেই মনোযোগ দিতে পারব। আর আমি নিশ্চিত স্পেন বর্ণবাদী দেশ নয়, তবে এখানে প্রচুর বর্ণবাদী আছে।’