ইনজুরির কারণে রাশিয়া বিশ্বকাপ মিশনটা তেমন ভাল কাটেনি তার। কিন্তু সব মিলিয়ে বছরটা মনে রাখার মতোই ছিল মোহাম্মদ সালাহর। তার পথ ধরে নতুন বছরের শুরুতেই বড় একটা স্বীকৃতি পেলেন মিশরের এই ফুটবলার। টানা দ্বিতীয়বার আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন তিনি। সেনেগালের রাজধানী ডাকারে এক জমকালো আয়োজনে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সাবেক ফুটবল কিংবদন্তি জর্জ উইয়াহ।
২০১৮ সালের বর্ষসেরা দৌড়ে তার সঙ্গে ছিলেন সেনেগালের সাদিও মানে ও গ্যাবনের স্ট্রাইকার পিয়েরি-এমরিক আবামেয়াং। তাদের পেছনে ফেলে সেরা ফুটবলার হলেন সালাহ।
সাফল্যের স্বীকৃতিটাই পেয়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগে করেন রেকর্ড ৩২টি গোল। সব আসর মিলিয়ে ৪৪ গোল করেন তিনি। গেল মৌসুমে তার ম্যাজিকেই লিভারপুল পেয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের টিকিট। একইসঙ্গে দীর্ঘ ২৮ বছর পর মিশর তার ম্যাজিকেই জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপে। যদিও ইনজুরির কারণে রাশিয়া বিশ্বকাপটা মনে রাখার মতো হয়নি তার।
সেরার লড়াই তার লিভারপুল সতীর্থ সাদিও মানে ও আর্সেনালের গ্যাবন স্ট্রাইকার পিয়েরি-এমরিক আবামেয়াংকে অনেকটা অনায়াসেই হারালেন সালাহ।
এদিকে ২০১৯ সালের আফ্রিকান নেশন্স কাপ আয়োজক হয়েছে মিশর। মঙ্গলবার কনফেডারেশন অব আফ্রিকান ফুটবল (সিএএফ) এর কার্যনির্বাহী সভায় ভোটে স্বাগতিক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে মোহাম্মদ সালাহ'র দেশ। এর আগে ১৯৫৭, ১৯৭৪, ১৯৮৬ ও ২০০৬ সালে নেশন্স কাপের আয়োজক ছিল মিশর।
এনিয়ে পঞ্চমবারের মতো আফ্রিকান নেশন্স কাপ আয়োজন করবে মিশর। আগামী ১৫ জুন ২৪ দেশের এই প্রতিযোগিতা শুরু। ফাইনাল ১৩ জুলাই।