শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদ হয়েছে বহু আগে

বিবিধ, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-21 14:36:39

তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক । গতকাল (শনিবার) নিজের সকল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিয়ের ছবি পোস্ট করেছেন শোয়েব। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ।’ সঙ্গে পবিত্র কোরআনের আয়াতও জুড়ে দিয়েছেন, ‘এবং আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়।’ এতেই এতদিনের জলঘোলা অবস্থা পরিস্কার হলো যে, শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার সম্পর্কটি শেষ।

তবে একটা প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। তাদের কি ডিভোর্স হয়েছে? কারণ কোনো পক্ষই ডিভোর্স বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি। অবশ্য রাত পেরোতেই জানা গেল সে সম্পর্কেও। গতকাল শোয়েবের বিয়ের ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার পর সানিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল, একতরফাভাবে ডিভোর্সের অধিকার বিয়ের সময়ই দেওয়া হয়েছিল সানিয়াকে!

এবার পরিস্কারভাবে জানা গেল, কয়েক মাস আগেই বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে শোয়েব-সানিয়ার। আজ ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে বিষয়টি জানান সানিয়ার ছোট বোন আনাম মির্জা। সানিয়ার পক্ষ থেকে শোয়েবকে তার নতুন জীবনের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন তিনি।

সানিয়ার পরিবার ও টিম সানিয়ার পক্ষ হতে দেওয়া সেই পোস্টে আনাম জানান, ‘সানিয়া (মির্জা) সব সময়ই তার ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের আড়ালে রেখেছেন। যাই হোক, আজ জানানোর প্রয়োজন হয়েছে যে শোয়েব আর তার বিবাহবিচ্ছেদ কয়েক মাস আগেই হয়েছে। সে (সানিয়া) শোয়েবের নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনা জানিয়েছে।’ 

পোস্টটিতে এরপর সানিয়ার ভক্ত-সমর্থকদের কাছে একটি অনুরোধও করা হয়েছে, ‘তাঁর (সানিয়া) জীবনের এই স্পর্শকাতর সময়ে আমরা চাইব, সানিয়ার গোপনীয়তার স্বার্থে যেকোনো জল্পনা থেকে যেন সবাই বিরত থাকে।’ 

২০১০ সালে ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার। একসময়ের সেলিব্রেটি তারকা হিসেবে এই জুটিকে আইডল মানা এই দম্পতির সম্পর্কের ফাটল দেখা মিলে গত বছরের নভেম্বর থেকে। সম্প্রতি সানিয়ার করা এক পোস্টে গুঞ্জন মোড় নেয় জোরেশোরে। গতকালই অবশ্য মিলেছে সেই সূত্র। এদিকে নতুন যার সঙ্গে সূত্র বাঁধলেন শোয়েব তিনি পাকিস্তানের অভিনেত্রী সানা জাভেদ। 

এদিকে সানা, সানিয়ার আগেও তার জীবনে এসেছিলেন আয়েশা। সেই ঘটনাটি ২০০২ সালের। আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গে সে বছর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শোয়েব। যেটি ভেঙে যায় ২০১০ সালে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর