বিশ্বকাপ আগেই হাতছাড়া হয়ে গেছে বাংলাদেশের। টানা হারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার স্বপ্নও। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। এমন ম্যাচে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে লঙ্কানরা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত যেই রানই করেনি বাংলাদেশ।
এমন কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে মরণকামড় বসানো ছাড়া অপশন ছিল না বাংলাদেশের। সেটিই করেছে দল। সাকিব-শান্তর ১৬৯ রানের জুটিতে জয়ের কাছাকাছি চলে যায় বাংলাদেশ। দু’জনে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফেরার পর মাঝে কিছুটা ছন্নছাড়া ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশ। তবে তাতে জয় পেতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি। তাওহিদ হৃদয়ের ১৫ রানের ইনিংসে ৪১.১ ওভারে ৩ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় বাংলাদেশ।
দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪১ রানেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দারুণ শুরুর আভাস দিয়ে দিলশান মাদুশাঙ্কার শিকার হন তানজিদ ও লিটন। উইকেটে এসে দায়িত্ব নেন নাজমুল শান্ত ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ওই অর্থে রান পাচ্ছিলেন না দু’জনের কেউই।
এ নিয়ে সমালোচিত হতে হচ্ছিল দু’জনকে। সেই জবাবটাই আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাট হাতে দিয়েছেন দুজনে। যদিও সেঞ্চুরির আগে ম্যাথিউসের বলে ৮২ রানে ফিরেছেন সাকিব। সাকিব অবশ্য সাজঘরে ফেরার আগেই ওয়ানডেতে সাড়ে সাত হাজার রান ও তিনশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। যা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম। এই কীর্তি গড়তে ২৪৭ ম্যাচে মাঠে নামতে হয়েছে সাকিবকে।
সাকিবের আক্ষেপ ভোলাতে পারেননি শান্তও। ৯০ রানে ম্যাথিউসের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন তিনি। টাইমড আউটের শাস্তিটাই যেন বল হাতে নিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এরপর ফিরে যান মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। খানিকটা শঙ্কা উঁকি দিচ্ছিল বিপর্যয়ের। তবে এদিন হতাশ করেননি তাওহিদ। দায়িত্ব নিয়েছেন। মিরাজকে সঙ্গে করে দলকে এনে দিয়েছেন কাঙ্ক্ষিত জয়।
এর আগে দিল্লিতে টসে জিতে লঙ্কানদের ব্যাট করতে পাঠিয়ে ১৩১ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। তাতে লঙ্কানরা শঙ্কায় পড়ে যায় বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়া নিয়ে। তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে চারিথ আসালাঙ্কার ১০৮ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ ২৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের হয়ে তিন উইকেট শিকার করেছেন বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা তানজিম হাসান সাকিব।