ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে ইতিমধ্যে সব দলগুলো খেলে ফেলেছে অন্তত একটি করে ম্যাচ। সর্বমোট ৪৮ ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট চলবে ৪৬ দিন ধরে ভারতের ১০টি ভিন্ন শহরে। যার মধ্যে একটি ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়াম।
নানন্দিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই স্টেডিয়ামটির আউট-ফিল্ডের দৃশ্য যেন ঠিক বিপরীত। ঘাস ও বালুতে ঠাসা এই মাঠে ফিল্ডিং বেশ বিপদজনক। এই মাঠে আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সাকিবদের পরের ম্যাচও সেখানেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচকে সামনে রেখেই বাটলার-স্টোকসদের বাড়তি সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন আফগান কোচ ও সাবেক ইংল্যান্ড ক্রিকেটার জোনাথন ট্রট।
বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের পরেই মাঠ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ট্রট। অতিরিক্ত বালুময় সেই আউট-ফিল্ডে ফিল্ডিং করতে গিয়ে একাধিক খেলোয়াড় গিয়েছিলেন আটকে। বাউন্ডারি রক্ষার সময় হাটুতে গুরুতর আঘাত পেতে পারতেন মুজিব উর রহমান। সে যাত্রায় বেঁচে যাওয়া তাকে সৌভাগ্যবান হিসেবে দাবি করেছেন ট্রট।
সেই ম্যাচ শেষে প্রতিবেদনে আউটফিল্ডকে ‘গড়পড়তা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল অফিশিয়ালসরা। যদিও রোববার আইসিসি স্বাধীন পিচ পরামর্শক অ্যান্ডি অ্যাটকিনসন মাঠ পরিদর্শন করে আউটফিল্ডকে ‘কমফর্টেবল’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আইসিসির এক মুখপাত্র জানান, আইসিসি পিচ অ্যান্ড আউটফিল্ড মনিটরিং প্রক্রিয়ার আওতায় ম্যাচ অফিশিয়ালসরা পিচ ও আউট-ফিল্ডের অবস্থা মূল্যায়ন করে থাকেন। বাংলাদেশ–আফগানিস্তান ম্যাচের আউটফিল্ডকে ‘গড়পড়তা’ হিসেবে রেট করা হয়েছিল।
আইসিসির ইনডিপেনডেন্ট পিচ পরামর্শদাতা আউট-ফিল্ড দেখেছেন। তিনি এবং সেই ভেন্যুর পরবর্তী ম্যাচের রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথ আউট-ফিল্ডের কন্ডিশনে সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, শনিবার বাংলাদেশের ম্যাচ শেষে এবং রোববার বিকেলে মাঠে পানি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বোলাররা যেদিক থেকে রান-আপ নেন। এবং মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটি হবে নতুন একটি উইকেটে।