জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এর আগে কখনো স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেয়নি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সরকারি প্রতিষ্ঠানটি সেই অসমাপ্ত কাজটি সেরে ফেলল আজ সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর।
ক্রীড়া পরিষদ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে যারপরনাই খুশি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা। তৎকালীন অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু তো আজকের সংবর্ধনাকে অন্যগুলোর চেয়ে বড় করে দেখছেন, ‘মন্ত্রণালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরকারের সংস্থা। সরকারের কোনো সংস্থা থেকে এভাবে কখনো আমরা স্বীকৃতি ও সম্মাননা পাইনি।’
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল এনএসসি’র এই স্বীকৃতিকে প্রথম সরকারি স্বীকৃতি হিসেবেই দেখছেন, ‘অনেক স্বীকৃতি-সংবর্ধনা পেলেও আজকের এই সংবর্ধনা সরকারের প্রথম স্বীকৃতি বলা যায়।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলই মূলত এই সংবর্ধনা আয়োজনের উদ্যোক্তা। হঠাৎ করে নিজের এই উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বাবা শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার একজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাই। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে ক্রীড়াঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর জন্যই মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে এই প্রয়াস।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনো পুরো স্বাধীন বাংলা দলকে কোনো সম্মাননা দেওয়া হয়নি। সেই অপূর্ণতা ঘোচাতে দেশের সবচেয়ে মর্যাদাকর বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিবে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন আশ্বাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ‘স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করতে হয়। জানি না সামনের বছরের আবেদনের সময় আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে এবারই আবেদনের ব্যবস্থা করব। না হলে আগামী বছরের জন্য চেষ্টা করব।’