সেই ২০১৩ সালেই ইঙ্গিতটা দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। স্কুল ক্রিকেটে ৫৪৬ রানের বিস্ময়কর এক ইনিংস খেলে নজরে এসেছিলেন পৃথ্বী শ। তখন তার বয়স মাত্র ১৪। এরপর সময়ের পথ ধরে উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। আজ বৃহস্পতিবার টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের হয়ে অভিষেকও হল এই ব্যাটসম্যানের। আর শুরুতেই বাজিমাত করলেন তিনি। অভিষেকেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি।
রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ওপেনিংয়ে নেমে শতরান করেন পৃথ্বী শ। স্পিনার দেবেন্দ্র বিশুকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১৫৪ বলে ১৯ চারে খেলেছেন ১৩৪ রান। তার এমন ইনিংসে চেপেই টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল ভারতের।
স্বাগতিকরা দিন শেষে ১ম ইনিংসে তুলেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান। চেতেশ্বর পুজারার ব্যাটে ৮৬। আজিঙ্কা রাহানে ৪১ রান তুলে ফিরেন সাজঘরে। উইকেটে আছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি (৭২) ও রিশব পান্থ (১৭)। সব মিলিয়ে রাজকোটে টস জিতে ব্যাট করতে নামাটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত ছিল কোহলির।
ম্যাচটা দিন শেষে পৃথ্বী শ'র হয়েই থাকল। ১৮ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন ৯৯ বলে। এটি টেস্ট অভিষেকে তৃতীয় দ্রুততম শতক। দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড শিখর ধাওয়ানের। ২০১২-১৩ মৌসুমে মোহালিতে ভারতের এ ব্যাটসম্যান অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি কহাঁকান ৮৫ বলে।
বৃহস্পতিবার ১৮ বছর ৩২৯ দিন বয়সে মাঠে নামেন পৃথ্বী শ। অভিষেক টেস্টে তার চেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি আছে দুজনের। তারা হলেন-বাংলাদেশের মোহাম্মদ আশরাফুল ও জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। টাইগার ক্রিকেটার অ্যাশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে সেঞ্চুরি করেন ১৭ বছর ৬১ দিন বয়সে। আর মাসাকাদজা ১৭ বছর ৩৫২ দিন বয়সে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন।
অন্যদিকে ভারতের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ওপেনার পৃথ্বী শ। ১৯৫৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ বছর ২৬৫ দিনে টেস্ট অভিষেক হয় বিজয় মেহরার। ভারতের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয় শচীন টেন্ডুলকারের। ১৬ বছর ২০৫ দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট নামেন শচীন।
ভারতের ২৯৩ নম্বর টেস্ট ক্রিকেটারের সঙ্গে অবশ্য শচীন নয়, অনেকেই মারকুটে বীরেন্দ্র শেবাগের মিল খুঁজে পেয়েছেন। তবে এটা বলাই যায়-ভারতীয় ক্রিকেট একজন তারকা ব্যাটসম্যান পেয়েই গেল!
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ভারত ১ম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ৩৬৪/৪ (পৃথ্বী ১৩৪, রাহুল ০, পুজারা ৮৬, কোহলি ৭২*, রাহানে ৪১, পান্ত ১৭*; গ্যাব্রিয়েল ১/৬৬, লুইস ১/৫৬, বিশু ১/১১৩, চেইস ১/৬৭)।