সাফ ফুটবল। কেউ কেউ এই টুর্নামেন্টকে কায়দা করে একটা নাম দিয়েছেন-দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ! এই টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যকার এই টুর্নামেন্টের নাম বদল হয়েছে তিনবার। শুরু হয়েছিল সার্ক গোল্ডকাপ নামে। দুই বছর পরে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টের নাম করা হল সাউথ এশিয়ান গোল্ডকাপ। ঠিক তার দু’বছর পর নতুন আরেকটা নাম পেল এই টুর্নামেন্ট; সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ!
এখন পর্যন্ত সেই নামেই পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ার ৭ দেশের এই টুর্নামেন্ট। এবারের আসর বসছে ঢাকায়। ৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু এই ফুটবল উৎসব। ফাইনাল ১৫ সেপ্টেম্বর। ১১ দিনের ফুটবল উৎসবে ফাইনালসহ ম্যাচ হবে ১২টি। উদ্বোধনী দিনে দুই ম্যাচ। বিকাল ৪টায় পাকিস্তান মুখোমুখি হচ্ছে নেপালের। রাত ৭টায় লড়বে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের ১২টি ম্যাচের সবগুলোই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্টের পেছনের ১১টি আসরে বাংলাদেশ মাত্র দু’বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ এই টুর্নামেন্টের ট্রফি হাতে নিয়ে উৎসবে মেতেছিল বাংলাদেশ ২০০৩ সালে। ব্যস সেটাই প্রথম এবং শেষ! তারপর সাফের এই টুর্নামেন্ট মানেই বাংলাদেশের ব্যর্থতার কাহিনী। পেছনের তিন আসরে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে যে দুর্বল মানের ফুটবল খেলেছে সেটা শুধু কষ্টই বাড়িয়েছে। এই টুর্নামেন্টের সর্বশেষ তিন আসরের প্রথম পর্ব থেকেই বাদ পড়েছে বাংলাদেশ!
এবার স্বাগতিক বাংলাদেশ পেছনের সব ব্যর্থতাকে উড়িয়ে দিয়ে এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে অনেক দুরের স্বপ্ন দেখছে।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের গল্প। ১১ আসরে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ৭ বার। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান একবার করে এই ট্রফি জিতেছে। টুর্নামেন্টের সর্বশেষ দুই আসরে ভারত ও আফগানিস্তান ফাইনালে খেলেছিল। ২০১৩ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে জিতেছিল আফগানিস্তান। দুবছর পরে ২০১৫ সালে ভারত মধুর প্রতিশোধ নেয়। ভারতের মাটিতে সেই ফাইনালে আফগানিস্তানকে হারিয়ে সপ্তমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে ভারত।
এবারের আসরেও বরাবরের মতো হট ফেভারিটের ট্যাগ নিয়েই মাঠে নামছে ভারত। তবে স্বাগতিক বাংলাদেশও শিরোপা জেতার স্বপ্ন নিয়েই এই ফুটবল উৎসবে নামছে।