ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহার আদালতে মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তেজগাঁ থানার ওসিকে তদন্তকরে করে মামলার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে থেকে জানা যায়, চলতি মাসের গত ৪ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায় কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। তিনি নওমীকে ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে বলেন।
অপরদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের লোকজন ঢুকে পরে। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন-ঝিগাতলায় ছাত্রদলের কর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা ও বিভিন্ন জায়গায় পরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও ছাত্রী ধর্ষণ ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ জনগণের ভিতর আতঙ্ক সৃষ্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার করে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে উত্তরায় এনা পরিবহনের দুই বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও হামলা করে কর্মীদের আহত করেছে, মিরপুরে মারপিট, হামলা ও গুলিবর্ষণ ঘটিয়েছে ছাত্রদলের ছাত্ররা।
আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছেন। যার ফলে আসামিরা ১৫৩, ১৫৩(ক) ও ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন। মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীকে ওই ঘটনার হুকুমদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।