কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত, দেখা নেই স্থানীয় নেতাদের!

, রাজনীতি

মনি আচার্য্য, মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-26 04:29:33

গাজীপুর থেকে: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বসে আছেন। কিছুক্ষণ পরে তাদের সঙ্গে এসে ঢাকা থেকে এসে যোগ দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

বিএনপির এই জাতীয় নেতাদের সামনে বসে আছেন ১০-১৫ জন স্থানীয় নেতাকর্মী। পরিস্থিতি পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের আমেজ দূরে থাক, ছোট একটি সমাবেশেরও আমেজ নেই।

এ সময়টাতে কিন্তু পুরো গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) জুড়ে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। একদিকে মাইকের আওয়াজ, ব্যানার ফেস্টুন লাগানোর ধুম, অন্যদিকে প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

বুধবার (২০ জুন) গাজীপুরের টঙ্গিতে অবস্থিত বিএনপির পার্টি অফিসে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

আগামী ২৬ জুন জিসিসি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। হাতে সময় মাত্র কয়েক দিন। তাই বিএনপির জাতীয় নেতারা ঢাকা থেকে এসেছেন প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে।

বিএনপির গাজীপুরের পার্টি অফিস ঘুরে দেখা যায়, মওদুদ, নোমান ও অ্যানির মতো কেন্দ্রীয় নেতা থাকার পরেও ১০-১৫ জন স্থানীয় নেতাকর্মী মাত্র উপস্থিত।

কিন্তু গাজীপুর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাণ্ডকারখানা ছিল অবাক হওয়ার মতো। যেখানে নির্বাচন উপলক্ষে তাদের স্থানীয় অফিসটিতে এমনিই রমরমা অবস্থা থাকার কথা। যেখানে ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতারা গেলেও তাদের বরণ করার জন্য ছিল গুটি কয়েক নেতা।

অফিসটিতে বিছিয়ে রাখা ২০-২৫ টি প্ল্যাস্টিকের চেয়ারে বসার মতোও নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের সময় গাজীপুর বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকও তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেননি।

দলটির স্থানীয় কয়েক জন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের পর পর হওয়া অনেক নেতাকর্মী ও লোকজন এলাকায় আসেনি। তাই একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এছাড়া অনেক নেতাই গ্রেফতার আতংকে খুব বেশি বের না হওয়ার কারণে জন্যও এ অবস্থা।

এ বিষয়ে টঙ্গি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম শুকুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকায় পার্টি অফিসে লোকজন কম। কেন্দ্রীয় নেতারা পার্টি অফিসে এসে বসে আবার প্রচারণায় চলে যাচ্ছেন।

তবে শুকুর আলমের দাবি অনুযায়ী,বিএনপির প্রচারণার চিত্র দেখা যায়নি জিসিসি এলাকায়। তাদের তুলনায় অনেক গুণ বেশি প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত আওয়ামী লীগ।

গাজীপুর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি রাকিব উদ্দিন সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, নেতাকর্মীরা অফিসে না আসলেও ফোনের মাধ্যমে তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তারা সেই মুতাবেক কাজ করছে।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে ছিল গমগম। নেতাকর্মীদের উপস্থিতে উৎসব মুখোর পরিবেশ। কেন্দ্রীয় কোনো নেতা না আসলেও তাদের অফিসের এই জৌলুস দেখা যায়।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর