নৌকার বিরোধিতাকারীদের শোকজের সিদ্ধান্ত আ’লীগের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-26 12:08:08

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী দলের পদধারী নেতাদের বিরুদ্ধে ধীরে চল নীতিতে এগোবে আওয়ামী লীগ। প্রথমে তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে, এরপর যাদের অপরাধ গুরুতর হবে, তখন মাত্রা অনুসারে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে গণভবনে হওয়া আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

কার্যনির্বাহী সভার আগে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে পৃথক বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। দুইটি বৈঠকেই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার তাগিদ দেন। সেই সঙ্গে উপদেষ্টাদের দলে আরও বেশি সক্রিয় হওয়ার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টাদের দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, 'আপনারা আরও সক্রিয় হোন।'

সভায় উপস্থিত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতাকারী দলীয় এমপিদের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি নৌকার বিরোধিতাকারী এমপি, যারা নৌকা প্রতীক  নিয়ে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কর্মকাণ্ডে বিরক্তি প্রকাশ করেন। কয়েকজনের ভূমিকা নিয়ে তিরস্কারও করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘যারা নৌকার বিরোধিতা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের প্রথমে শোকজ পাঠানো হবে। তারপর অপরাধের মাত্রা অনুসারে ভবিষ্যতে নৌকার মনোনয়ন না দেওয়াসহ দল থেকে বহিষ্কারের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’

আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিষয়ে বিভাগীয় যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আছেন, তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শোকজ করতে।’

সূত্র জনায়, বৈঠকে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনমত গঠনের প্রতিও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তৃণমূলে দলের শৃঙ্খলা ফেরানোর উপর বেশি গুরুত্ব দেন নেতারা। শোকাবহ আগস্টে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কৌশল নির্ধারণ, অক্টোবরে যথাসময়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও মুজিব বর্ষ উদযাপনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া শিশু ধর্ষণসহ নানা সামাজিক অপরাধ তুলে ধরে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলেন। দ্রুত তাদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্নের উপায় নিয়ে কথা বলেন। এজন্য প্রয়োজনে আইন সংশোধনের কথা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরলে প্রধানমন্ত্রী তাতে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর