ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘বিগত ৩০ ডিসেম্ববরের নির্বাচনে সন্ত্রাস ও অস্ত্রের মুখে জনগণের অধিকার হরণ করেছে সরকার, সেহেতু রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা হারিয়ে যাচ্ছে। ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলছে।’
শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘একটা চরম অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সংকট বিরাজ করছে দেশে। এই সংকট নিরসনে খালেদা জিয়া সহ রাজবন্দীদের মুক্তি ও একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের পার্লামেন্ট গঠনই একমাত্র পথ।’
রিফাত হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তদের রামদা ও অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্রের আঘাতে রিফাতকে (রিফাত শরীফ) যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তার নিন্দা জানাই। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার সর্বাত্মক ব্যার্থ, উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে। যেহেতু সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই।’
সংসদ ভবন থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর দাবি সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের মন্তব্যের বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘উনি এ ধরনের কথা প্রায়ই বলছেন, আগেও বলেছেন। তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনারই বহি:প্রকাশ। এগুলো কোনো রাজনৈতিক চিন্তা বলে মনে করি না।’
ছাত্রদলের সংকট নিরসনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারাই এ বিষয়ে কথা বলবেন।’
বৈঠকে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, মির্জা আব্বাস।