ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে সমস্যা অচিরেই সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১ জুন) রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার অনুপস্থিতিতে ছাত্রলীগের কমিটির ব্যাপারে আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) দলের চারজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন; কমিটি গঠন, অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা সাংগঠনিক সমস্যা সমাধানে জন্য। তাদের সাথে আমার কথাবার্তা হয়েছে।
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যোগাযোগ হচ্ছে; যারা আন্দোলন প্রতিবাদ করছে, তাদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আমি আশা করি, বিষয়টি অচিরেই সমাধান হবে।‘
গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার করে সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তারপর থেকেই কমিটির বিরোধিতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যানটিনে আন্দোলন শুরু করে পদবঞ্চিতরা। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।
সর্বশেষ, কমিটি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ১৯টি পদকে বাতিল করে ছাত্রলীগ। তারপরও বিতর্কের অবসান না হলে আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এমনকি প্রয়োজনে ঈদও আন্দোলনরত অবস্থায় কাটাবেন বলেও হুঁশিয়ারি তাদের।
‘আদালতের বিরুদ্ধে বিএনপি আন্দোলন করতে পারে’
খালেদা জিয়াকে মুক্তি নিয়ে বিএনপির আন্দোলন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আইনি লড়াই করে তাদের নেতারা তাকে মুক্ত করে আনতে পারেন; এখানে সরকারের কোনো করণীয় নেই। বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার।’
‘বিএনপি বলছে, খালেদা জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করবে; খালেদা জিয়ার সাজা পাওয়ার এতদিন চলে গেল; আজ পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলনের বিন্দু মাত্র উত্তাপ রাজপথে নেই। এটা তাদের ব্যর্থতা।’
কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিএনপি আন্দোলন করে মুক্ত করতে চায়, কিন্তু তারা আন্দোলন করবে সরকারের বিরুদ্ধে। সাজা দিয়েছে আদালত; আদালতের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করতে পারেন। এতে সরকারের কিছু করার নেই।’