আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ক্রমাগতভাবে অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে।’
সোমবার (৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি সব কিছু দেরিতে বোঝে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন, সংসদে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত ছিল, সেটি ভুল ছিল। বিএনপি গত কয়েক বছরে বহু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই ভুল সিদ্ধান্তগুলোর মাসুল এখন বিএনপিকে দিতে হচ্ছে ‘
ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচনে না করার সিদ্ধান্তটি ছিল বিএনপির বড় ভুল এবং আত্মহননের মতো। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করে, মানুষের ওপর যে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, জীবন্ত মানুষকে হত্যা করে, হরতাল অবরোধের নামে জনগণকে দিনের পর দিন অবরুদ্ধ করে বিএনপি জনগণকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করেছিল। গণমুখী একটি দলের জন্য কখনই সমীচীন নয়।’
তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে বিএনপি প্রথমে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না। শেষ প্রান্তে গিয়ে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও করে নাই।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যদি গত নির্বাচনে প্রথম থেকে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতো এবং অংশগ্রহণ করার পর তারা যে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে, তা যদি না করতো, তাহলে তাদের ফলাফল আরো ভালো হতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অতি কৌশলের বলি হচ্ছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাঁচজন শপথ নিয়েছেন কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিলেন না কেন, সে রহস্য তিনিই বলতে পারবেন। তবে বিএনপি বহুবিধ কৌশল করতে চেয়েছে এবং সেই কৌশলের বলি হচ্ছে মির্জা ফখরুল।’
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক পরিবর্তন সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, গণফোরাম কখনোই গণমুখী দল হয়ে উঠতে পারেনি এবং তাদের যে সাংগঠনিক পরিবর্তন, আমি মনে করি এতে বাস্তবতার কোনো পরিবর্তন হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে সাধারণ মানুষ বা গ্রামের মানুষের সাথে ওঠা-বসা, তাদের সাথে কথা বলা, তাদেরকে আপন করে নেওয়া, এই শক্তি সামর্থ্য যদি কোনো রাজনীতিবিদের না থাকে, সেই রাজনীতিবিদ জনগণ থেকে সব সময় বিচ্ছিন্ন থাকবে। সুতরাং আমি মনে করি গণফোরাম অতীতে যেমন গণমুখী দল হয়ে উঠতে পারে নাই, এই পরিবর্তনেও গণফোরামের কোনো পরিবর্তন আসবে না। বরং তা গণফোরামকে জনগণ থেকে আরো বিচ্ছিন্ন করে কি না সেটিই সেখার বিষয়।’