ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দল ও সরকারে পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করবে আওয়ামী লীগ। সোমবার (৬ মে) থেকে এ ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে।
রোববার (৫ মে) রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এ কথা জানান।
আমু বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশ যতটুকু আঘাত হানার কথা ছিল ততটুকু না হানায় আমরা কিছুটা স্বস্তিতে আছি। দুঃখজনক হলেও সত্য কয়েকটি জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ হলো- দলীয় নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ায়। সরকার ও দলের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর এবং বরগুনা জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করব। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দলীয় ত্রাণ কার্যক্রম এবং সরকারের ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব। যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। মননীয় প্রধানমন্ত্রী কালকেও ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন।'
বিএনপি উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'আজ যারা বড় বড় কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন। ১৯৯১ সালে তাদের অভিজ্ঞতা হলো কোনরকম প্রস্তুতি না থাকার কারণে একদিকে পাঁচ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিল। অন্যদিকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারসহ পাঁচ কোটি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞতা হলো নেত্রীর নির্দেশে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিগত দিনে মানুষকে বাঁচানোসহ ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি নিয়েছিল।'
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত নন্দি রায়, আওয়ামী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল প্রমুখ।