বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংসদে না যাওয়ার যে সিদ্ধান্ত বিএনপির নেওয়া ছিল, সেটাই বহাল আছে। এ বিষয়ে আর কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। দলের এই (শপথ না নেওয়া) সিদ্ধান্ত যারা ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে দল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাহিদুর রহমান শপথ নিয়েছেন দলের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে, এটা তিনি অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করেছেন। এই জন্য তার বিরুদ্ধে সংগঠন ব্যবস্থা নেবে। যেটাকে আমরা বলি সাংগঠনিক ব্যবস্থা, সেটা অবশ্যই নেওয়া হবে।’
একাদশ সংসদে নির্বাচিত বিএনপির অন্য প্রার্থিরা শপথ নিতে আগ্রহী কী না জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘একজন গেছেন, বাকি নির্বাচিত যারা আছেন তাদের সিদ্ধান্ত তো আমরা এখনো জানি না। তারা আমাদেরকে জানায়নি এখনো। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত যেটা ছিল সেটাই বহাল আছে। আমরা শপথ গ্রহণ করবে না, এই বিষয়ে আর কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়।’
বিএনপির নির্বাচিত প্রার্থীদের সংসদে শপথ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের কোনো চাপ আছে কি না বা বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা তো স্বাভাবিক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বাংলাদেশে বরাবরই এই ধরনের দল ভাঙার প্রচেষ্টা হয়েছে, ভেঙেছে। কিন্তু বিএনপির বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রচেষ্টা করে কখনো কোনো লাভ হয়নি। বিএনপি সব সময়ই ফিরে এসে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণের কাছে গেছে।’
তাহলে এর পেছনে সরকারের চাপ আছে? আবার প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, ‘নিঃসন্দেহে চাপ রয়েছে। যেটা সবসময়ই থাকে। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না, তারাই এই ধরনের চেষ্টা করে থাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’
বিএনপি জনগণের দল, একটি গোষ্ঠী বা একটি ব্যক্তি যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে দলের খুব বেশি ক্ষতি হয় না বলেও জানান বিএনপির মহাসচিব।
এ সময় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান উপস্থিত ছিলেন।