বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মধ্যে কোনো টানাপোড়েন নেই বলে জানিয়েছেন জোটের সমন্বয়ক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এসময় জোটের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ দলীয় জোট আগে হয়েছে, আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পরে হয়েছে। জোটের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মির্জা ফখরুল ফ্রন্টের মুখপাত্র হয়েছেন। এই দুই জোট পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এখানে কেউ বিশেষ গুরুত্ব পাওয়ার কোনো বিষয় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জোটের পাশাপাশি আরও অন্যান্য যেসব বিরোধী দল আছে, যারা গণতন্ত্র চায় এবং সরকারের দুঃশাসনে অতিষ্ঠ, তাদেরকে আমরা চাই। এসব দল চাইলে ২০ দলীয় জোট বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। জনগণের স্বার্থে বিএনপি আরও বৃহত্তর ঐক্য চায়।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘সরকার তারেক জিয়াকে ফিরিয়ে আনতে আজকে প্রথম চিঠি দিয়েছে, তা নয়। এর আগেও অনেকবার তারা বিট্রিশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে বলে শুনেছি। তখন তাদের চিঠি প্রত্যাখান হয়েছে, এবারও হবে। কারণ বিট্রিশ সরকার জানে যেসব মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তা মিথ্যা।’
২০ দল গণতন্ত্রের স্বার্থে গণআন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কারণ আমরা মনে করি তার মুক্তি ও গণতন্ত্রের দাবি একাকার হয়ে গেছে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশ নেন-
জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর অংশ) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, খেলাফত মসলিসের নেতা আহম্মদ আবদুল কাদের, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর নেতা আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন, ডেমোক্রেটিক লীগের নেতা সাইফুদ্দিন মুনি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগের নেতা শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুল, সাম্যবাদী দলের নেতা সাঈদ আহমেদ, জাতীয় দলের নেতা এহসানুল হুদা প্রমুখ।