খালেদাকে মুক্ত করতে কর্মসূচি চাইলেন প্রার্থীরা

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 00:44:44

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নতুন কর্মসূচি চেয়েছেন গত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করতে পারলে দেশে গণতন্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে গণশুনানি শুরু হয়। সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে গণশুনানি। এতে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৪৩ জন প্রার্থী অংশ নেন এতে। গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের স্ব স্ব এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন তারা।

জামালপুর-৫ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, নির্নাচনে আমাদের পরাজয় হয়নি। আমাদের পরাজয় সেদিনই হয়েছে যেদিন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নেওয়া হয়েছে। যেদিন তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। আমরা ১২ বছর সংগ্রাম করেছি, তারপর যখন আমাদের সকল দাবি থেকে সরে এসে নির্বাচনে গিয়েছি, সেদিনই আমাদের পরাজয় হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের নেতৃকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমান ও নেত্রীর মুক্তির জন্য কর্মসূচি দিতে হবে। আন্দোলন ছাড়া তাদের মুক্তি সম্ভব নয়। আন্দোলনে আগেও ছিলাম, সামনেও থাকব।

নরসিংদী-২ আসনের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন বকুল ড. কামাল হোসেনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকে বিএনপি একটা অর্গানাইজেশন নয়, বিএনপি মানে বাংলাদেশ। নেত্রী আপনার উপর দায়িত্ব দিয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বের করার জন্য আমরা কিছুই করতে পারি নাই। খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য কর্মসূচি চাই, আন্দোলন চাই। খালেদা জিয়া আপনাকে এই চেয়ারের দায়িত্ব দিয়েছেন, আপনি তার মুক্তির জন্য কর্মসূচি দেন। আমরা আপনার সামনে থাকব।

অন্যান্য প্রার্থীর মতো ঢাকা-১ আসনের খন্দকার আবু আশফাক বলেন, নির্বাচন করতে পারি নাই, আমাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যখন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করলো, তখন কিন্তু আমরা কর্মসূচি দিতে পারতাম। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং তারেক রহমানকে দেশে আনতে কর্মসূচি বা প্রোগ্রাম চাই।

মাগুড়া-২ আসনের প্রার্থী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, কেন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না? তারেক জিয়াকে দেশে আসতে দেওয়া হচ্ছে না? কারণ তারা বাইরে থাকলে সরকারের তাখতে তাউস ভেঙ্গে যেত। এই নির্বাচনে যাওয়া আমাদের ভুল হয়েছে। আমাদের সাত দফা দাবি মানা হয়নি। তারপরেও যাওয়া উচিৎ হয়নি। এটাকে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলা যায় না। আমাদের ভাবতে হবে, কীভাবে আন্দোলন জোরদার করা যায়, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যায়।

হবিগঞ্জ-১ আসনের ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা নির্বাচনের পূর্বেই ধারণা করেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ হয়তো আমাদের থাকবে না। নির্বাচনের সময় নিজের বাড়িতে মিটিং করেছি। মিটিং শেষে নেতারা যখন ঘর থেকে বের হন, সাদা পোশাকধারী লোক তাদের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। আমার এলাকায় নির্বাচনের এক মাস পূর্বেই কর্মীরা বাড়ির বাইরে পলাতক ছিলেন। নেতাদের না পেয়ে ১৬ বছরের ছেলেদের ধরে নিয়ে যায়। নির্বাচনের রাতে প্রায় ২০টা ফোন আসলো, ভোট তো অর্ধেক হয়ে গেছে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/22/1550843922029.jpg

গণশুনানির বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ড. নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট ড. মহসিন রশীদ, সাবেক বিচারপতি আ ক ম আনিসুর রহমান খান, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক-শ্রমিক লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা, বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, সারা দেশ থেকে আসা জোটের প্রার্থীরা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর