আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন ধরে রাজনীতি অঙ্গন থেকে বিদায় নেওয়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে আসছেন। তবে তিনি যেতে চাইলেও দলের নেতাকর্মীরা তাঁকে ছাড়বেন কিনা, সেটা চিন্তাভাবনা করতে হবে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান।
রাজনীতি ছেড়ে দিলে শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ার গ্রামে গিয়ে থাকবেন বলে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন, এ বিষয়ে দল কি ভাবছে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) এর আগেও বিদায় নিতে চেয়েছিলেন। আমাদের দলের কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীদের চাপের মুখে তিনি ঘোষণা দিয়েও সরে যেতে পারেননি।’
তিনি বলেন,‘আসলে তিনি (শেখ হাসিনা) অনেকদিন ধরেই বলছেন যে, আর কত? আসলে বাস্তবতা হচ্ছে যে, এখনো শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প আমাদের পার্টিতে নেই এবং তার কোনো বিকল্প বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও নেই।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ এর পরবর্তীকালে গত ৪৩ বছরে তাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি। তিনি সবাইকে অতিক্রম করে গেছেন এবং নিজেকেও অতিক্রম করে গেছেন। সে জন্য আমরা এবং রাজনৈতিক বিশ্লষকরা তাঁকে (শেখ হাসিনা) বলেন স্টেটসম্যান। পলিটিশিয়ানরা ভাবেন পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু শেখ হাসিনা ভাবেন পরবর্তী জেনারেশন নিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই জেনারেশনের ভাবনাটাও সুদূরপ্রসারী, সেটা ২০৪১ সালের সীমারেখায় সীমিত নেই, চলে গেছে ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানে। এই চিন্তা যারাই করে তাদের মধ্যে রাষ্ট্রনায়কোচিত দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা কাজ করে। গত ৪৩ বছরে দক্ষতায়, যোগ্যতায়, সততায় শেখ হাসিনাকে কেউ অতিক্রম করতে পারেনি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পাঁচ বছরে তিনি যদি শারীরিকভাবে সুস্থ ও সবল থাকেন। আমার মনে হয় তাঁর বিকল্পের চিন্তাভাবনা নেই। পাঁচ বছর পর শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনায় অক্ষম হবে, অসমর্থ হবে, এটা আমরা এই মুহূর্তে ভাবতে পারি না। আর তিনি ছাড়তে চাইলেও সময় পরিস্থিতি তাকে ছাড়বে কি না, নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কি না সেটাও তো আমাদের চিন্তাভাবনা করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য এসএম কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন।