মির্জা ফখরুলের জামিন আদালতের বিষয়: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-02-15 16:14:04

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের জামিন বা বিচারের সব সিদ্ধান্ত আদালতের বিষয়, তা সরকারের বিষয় না।’

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। আদালত জামিন দিয়েছেন। কাউকে জামিন দেওয়ার অর্থ এই নয়, তিনি অপরাধ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। মামলা তো আছে, মামলা চলবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের নির্যাতনের যে চিত্র, সেই কারণে তারা শাস্তির বাইরে যেতে পারে না। বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অনেকেই চিহ্নিত করেছে, তবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা এখনো দলগতভাবে আওয়ামী লীগ করেনি। এখানে আদালতের বিষয় আছে। আইন আদালত তো মানতে হবে। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, এটা কানাডার ফেডারেল আদালত বলেই দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তারেক জিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এটা জানিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিবের জামিনে মুক্ত হওয়ার পর দলটির আন্দোলন বেগবান হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন বেগবান হতে হতে পতন হয়ে যাবে। এখন পতনের গভীর খাদ থেকে কে উদ্ধার করবে? আমরা তো প্রস্তুত, রাস্তায় সদা জাগ্রত প্রহরী শেখ হাসিনার জন্য।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যাকে ডামি নির্বাচন বলছে, প্রমাণ হয়ে গেছে তারাই ডামি বিরোধীদল। তারা নিজেরাই ডামি। তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণই করেনি।

দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জটিলতায় প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের। এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, একজনের নাগরিকত্ব নেই, প্রশ্ন উঠছিল। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসতে সময় লেগেছে। নির্বাচনের চার দিন পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তথ্য উপাত্ত হাতে আসে। তখন তাকে নমিনেশন দিলেও বাস্তবে প্রতীক দেওয়া থেকে বিরত ছিল। কারণ এটা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ ছিল।

মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী ভোটে হারার পর ও কেন মনোনয়ন পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট আগে কখনো পরাজিত হননি। যেহেতু মহিলা আওয়ামী লীগ সারা দেশেই মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব করে তাই সংরক্ষিত আসনে থাকাটা প্রায়োগিক অর্থে খুবই বাস্তবসম্মত। এখানে কর্মীদের মধ্যেও অনেকে সংরক্ষিত আসনে এসেছে।

মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ভোটে হারার পরও সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দেয়াটা ঠিক হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, না, এটা তো আমাদের দলের ব্যাপার। এটা আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কোনটা সঠিক হবে, কোনটা বেঠিক হবে এটা যাচাই-বাছাই করে ঠিক করা হয়েছে। ছেলেদের ব্যাপারে এটা স্কুপ থাকে না। কিন্তু মহিলাদের যেহেতু সংরক্ষিত আসনের সুযোগ আছে, আর যেহেতু মহিলাদের প্রধান প্রতিনিধি মহিলা আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট, সেজন্য রাখাটা আমাদের পার্টি বাস্তবসম্মত মনে করেছে। এখানে জনগণের প্রত্যাখ্যানের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর