একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এই নির্বাচন বাতিল ও পুন:নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান ও কর্মসূচি ঘোষণা করবে সরকারবিরোধী এই জোটটি।
এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কথিত নির্বাচনের ফলাফল ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে। এই নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ঐক্যফন্টের প্রার্থীসহ নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে এবং কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সোমবার(৩১ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঘন্টাব্যাপী স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এগুলো আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।’
একই প্রসঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘উই হ্যাভ রিজেক্টেড দ্যাট রেজাল্ট। দ্যাট ইজ এনাফ।’
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের নামে যে প্রহসনমূলক নাটক মঞ্চস্থ হলো তা সমগ্র দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছেন এবং হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করেছেন। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কিভাবে ধ্বংস করতে হয়েছে তা এদেশের মানুষসহ সমগ্র বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও তাদের আজ্ঞাবহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার।’
তিনি বলেন, ‘এই কথিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সরকারকে বিজয়ী দেখলেও প্রকারান্তরে হেরেছে বাংলাদেশ ও ১৭ কোটি মানুষ। এর মধ্য দিয়ে কবর রচিত হয়েছে আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্রের।’
এর আগে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।