জাপার মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় বাড়ল ২ দিন

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-11-20 14:06:34

জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময় বাড়ানো হয়েছে আরও দুইদিন। ২৩ নভেম্বর বিকেল পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম দেওয়া হবে বলে পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪কমকে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৪৩১টি বলে জানিয়েছেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় জাপার বনানী কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও সালমা ইসলাম।

দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণের জন্য ২০ ও ২১ নভেম্বর তারিখ ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে দুই দিন বাড়িয়ে ২৩ নভেম্বর করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ ও গ্রহণ করা হবে। বনানী কার্যালয়ে তৃতীয় তলার হল রুমে বিভাগভিত্তিক পৃথক বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধন করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা নির্বাচনে যাওয়ার প্রক্রিয়া আরম্ভ করেছি, কিন্তু এইটা আমাদের নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব ফখরুল ইমাম বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি এ কথাও বলিনি, আবার যাচ্ছি না এ কথাও বলিনি। নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মনোনয়ন ফরম বিতরণ করে এগিয়ে রাখছি। যাতে চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে কোন সমস্যা না হয়।

জাতীয় পার্টি সূত্র জানিয়েছে, এবার দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা করা হয়েছে। গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরমের দাম ছিল ২০ হাজার টাকা। আর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাম ছিল ১৫ হাজার টাকা, আর ২০০৮ সালে নেওয়া হয় ১০ হাজার টাকা।

অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এবারের নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে বেশকিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীক বরাদ্দের চিঠিতে খোদ চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করবেন। যাতে করে পার্টির চেয়ারম্যানকে বাইপাস করার সুযোগ না থাকে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার মধ্যেই ৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থেকে যান। প্রতীক বরাদ্দের চিঠি ইস্যু করেছিলেন পার্টির তৎকালীন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। সেই রকম কোন সুযোগ দিতে চান না জিএম কাদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর