বিএনপির স্বরূপ আবারও উন্মোচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সৃষ্টি করেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। বিএনপি যখন ২০০১-০৬ সালে ক্ষমতায় ছিল, তখন আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়া, জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ অনেককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।’
এসময় বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনাদের আন্দোলন শেষ হয়েছে। যে আন্দোলনে মানুষের সম্পৃক্ততা নেই সেই আন্দোলনের কোনো পরিণতি নেই। তথাকথিত আন্দোলনের খেলা বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসুন। এদেশের মানুষের সমর্থন শেখ হাসিনার প্রতি আছে। নতুবা ২৮ অক্টোবরের দায় যেমন আপনাদের নিতে হয়েছে, আগামীতেও আপনাদের দায় নিতে হবে।’
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বোমা চালিয়েছিল আদালত প্রাজ্ঞনে, হত্যা করেছিল আইনজীবীদের। এই দলের সঙ্গে যখনই জামায়াত ইসলামি যোগ দিয়েছে তখনই সেই দল আরও হিংস্র হয়েছে।’
বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের জন্যে রাস্তায় গাড়িতে পুড়িয়ে মেরেছে। ১৪ সালের নির্বাচন বানচালের জন্যে ৫০০ স্কুল পুড়িয়েছিল। গাইবান্ধায় ৪ জন পুলিশ সদস্যকে মেরেছিল, রাজশাহীতে পুলিশকে পিটিয়েছিল। এরা মনে করে হত্যা করেই, ক্ষমতায় চলে আসবে। ৩১ সাংবাদিক বন্ধুকে আহত করেছে। রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। এদের লক্ষ্য একটাই ক্ষমতার বাইরে থেকেও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা।’
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বায়ক আমির হোসেন আমু'র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।