বর্তমান সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি, রাজনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 22:45:19

সরকার চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ারসহ সকল পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ করতে চায়। সেজন্যই দেশের প্রকৃত সত্য বা বাস্তবতা বুঝতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) জাপার বনানী কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সালমা হোসেন এ্যাশ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শুধু ইয়েস শুনতে চায়। তারা গঠনমূলক সমালোচনাও সহ্য করতে পারে না। এ কারণেই, দেশ ও মানুষের কল্যাণে নেয়া উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হয়। পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বে নিজস্ব লোক নিয়োগ করলে সরকারের উপকার হয় না, এটাও সরকার বুঝতে চায় না।

তিনি বলেন, পেশাজীবী সংগঠনগুলো করা হয় একটি উদ্দেশ্য থেকে। যেমন কখন কোন পণ্য আমদানি করতে হবে, কোন পণ্যের কত দাম হবে এবং ব্যবসায়ীরা কি পরিমাণ ব্যবসা করবে তা নির্ধারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেক্ষেত্রে, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনগুলো হেল্পিংহ্যান্ড হিসেবে সহায়তা করতে পারে। এভাবে প্রতিটি সেক্টরের পেশাজীবী সংগঠনগুলো সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করতে পারে। সকল ব্যবসায়ী সংগঠন থেকে তথ্য দিয়ে সরকারকে সহায়তা করতে পারে। আবার সরকার ইচ্ছে করলে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথেও আলোচনা করতে পারে। এতে সরকার প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কর নির্ধারণ করা হবে বা কোন পণ্যে কর নির্ধারণ করা হবে না তা সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। কোন পণ্যে কর ছাড় দিলে জনগণ উপকৃত হবে তা সরকার বুঝতে পারে।

পেশাজীবি সংগঠনগুলোতে কোন দল বা কোন মতের লোক নির্বাচিত হবে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এখন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃত্বেও দলীয়করণ করা হচ্ছে। দলের প্রতি আনুগত্য ভুলে পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আলোচনা করতে হবে সরকারের সাথে। সকল পেশাজীবী সংগঠন তৈরি করা হয় জনগণের কল্যাণের জন্য। পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা নিরপেক্ষ ভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। কারণ, সরকার সকল পেশাজীবী সংগঠন দলীয়কণের মাধ্যমে নষ্ট করেছে। এখন সরকার যা বলছে, পেশাজীবী সংগঠনগুলো ইয়েস স্যার বলছে। জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারকে সমর্থন দিতেই ব্যস্ত হয়ে থাকে। অথচ, সরকারকে সঠিক পথে রাখতেই এই সংগঠনগুলো সৃষ্টি হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, এখন বাজার অস্থির, নিত্যপণ্যের অভাব, ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা করছে কিন্তু সরকার তা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সবাই সরকারের পক্ষে কথা বলেন, সবাই ইয়েস স্যার বলতেই ব্যস্ত। এবার, এফবিসিসিআই নির্বাচনের সুযোগ দেয়া হয়েছে, এটাকে সরকারের স্বার্থেই সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দেয়া উচিত।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কোচেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম সেন্টু,এ্যড মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ সেলিম উদ্দিন, মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মোঃ জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া,মুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক -২ এম এ রাজ্জাক খান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন,যুগ্ম সম্পাদক সুজন দে প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর