‘আ.লীগ আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে চায়’

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-08-31 21:48:50

আওয়ামী লীগ আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি, ভবিষ্যতেও তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা যদি আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাইত, তাহলে তারা জনগণকে কষ্ট দিতে পারত না। তারা চায় আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসতে।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নগরীর কাজীর দেউরীস্থ নুর আহম্মেদ সড়কে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

সরকারের পদত্যাগ এবং বিএনপির ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত এই সমাবেশের আয়োজন করে।

আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল ইউনিয়নে বিএনপি পদযাত্রা করবে জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সারাদেশে চলছে। সেটা আরো বেগবান করতে হবে। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ অবৈধ সরকারের পতন হবে। আর সে পতনের অংশীদার আমরা হব। আগামী শনিবার বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা কর্মসূচি দিলেই এ সরকার বাঁধা দেয়। আমরা দেখতে চাই সারা বাংলাদেশের কয়টা ইউনিয়নে তারা বাঁধা দিতে পারে। সব ইউনিয়নের সকল নারী-পুরুষ পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, আমরা একবার বাকশালের গোরস্থানের ওপর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। পরে স্বৈরাশাসক এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে খালেদা জিয়ার হাত ধরে গণতন্ত্র পেয়েছি। এবার আমরা তারেক জিয়ার হাত ধরে এ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। বিএনপি বারবার বিজয় হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। এবারও করবে।

সরকার জনগণকে পরোয়া করে না উল্লেখ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে যারা হালাল উপার্জন করে সে শ্রমিক, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ তারা আজ চলতে পারছে না। প্রতিদিন জিনিসের দাম বাড়ছে। এ সরকারের তাতে কোনো পরোয়া নেই। তিন সপ্তাহের মধ্যে দুইবার জ্বালানির দাম বেড়েছে। যদি এ সরকার জনগণের পরোয়া করত তাহলে এটা তারা করতে পারত না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেরা সংবিধানকে লঙ্ঘন করে আবার সেটা প্রয়োগের কথা বলছে। দেশের আজকের চলমান পরিস্থিতির উপরে এ সরকারের পতনের আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই এ সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন আরও গতিশীল করতে হবে। আমরা একটা মহাযুদ্ধের মধ্যে আছি। এ যুদ্ধে আমাদের জিততে হবে। এ যুদ্ধ গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যুদ্ধ, মানুষের ভোটের যুদ্ধ। আমাদের দেশের মানুষ আজ না খেয়ে আছে। দেশের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার নূন্যতম সু্যোগ সুবিধা নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর মো, নাছির উদ্দিন বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন তারা মিছিল করলে আমরা নাকি পালানোর জায়গা পাবো না। আজ এসে তিনি দেখে যাক মানুষের এই জনসমুদ্র। আমরা যদি ঘোষণা দিই আজ থেকে বাংলাদেশ বন্ধ তাহলে আপনাদের সে ক্ষমতা নেই আবার চালু করার। তারা নাকি স্মার্ট বাংলাদেশ করবে! দুর্নীতিবাজদের মুখে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা মানায় না। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবার ফিরিয়ে আনতে আরেকটা গণ অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। সে ডাক আসবে। তখন সব অচল হয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ভিপি, গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর