সরকার পতন আন্দোলনের সূচনা গণমিছিল: খন্দকার মোশারফ

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-08-29 07:45:33

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষের রায় হচ্ছে এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই ১০ দফা আমাদের যে দাবি তা পূরণ করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকার আপোষে তা মেনে নেবে না। তাই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন ফয়সালা হবে রাজপথে। বীর চট্টলার মানুষ ফয়সালা রাজপথে করার জন্য প্রস্তুত।

তিনি বলেন, সরকার পতন আন্দোলনের সূচনা হচ্ছে আজকের গণমিছিল। এই সরকারের হাত থেকে দেশেকে রক্ষা করতে না পারলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। তাই দেশ ও জনগনকে রক্ষা করতে হলে , এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ সংলগ্ন ওয়াসা মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির গণমিছিলের পূর্ববর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশারফ।

তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগণের ভোট দিয়ে নির্বাচিত নয়। তাই এই সরকারের দেশের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই । সেই জন্য আজকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে, গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার ব্যবস্থা এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছে। বিভাগীয় সমাবেশ থেকে জনগণ আমাদেরকে রায় দিয়েছে। যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, অর্থনীতি ধ্বংস করেছে, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তারা এদেশে গণতন্ত্র আসতে দেবে না। অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না, তারা বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না । অতএব আমারা মানুষের ১০ দফা দাবি উথাপন করেছি। এই দাবি উথাপন করার পর, যারা সরকারকে পছন্দ করে না, যারা গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, সকল দল, ব্যক্তি এই ১০ দফার পক্ষ নিয়ে সেগুলোকে সমর্থন করেছে। আজকে যুগপৎ আন্দোলনের জন্য তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আমরা এই যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ের জন্য প্রথম কর্মসূচি পালন করছি গণমিছিল।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকার লুটেরা সরকার, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে আজকে অর্থনীতির এমন অবস্থা হয়েছে যে, আমদানিকরাকরা এলসি খুলতে পারে না । তার জন্য আজকে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ অবস্থা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গরিব মানুষ না খেয়ে থাকছে, মধ্যবিত্ত মানুষ আরও গরিব হয়ে গেছে। আগে যেখানে দারিদ্রের সীমা ২০ শতাংশের নিচে ছিলো, এই সরকারের দুর্নীীতি ও অর্থনীতি ধ্বংস করার কারণে সেই দারিদ্রের সীমা ৪০ শতাংশে উঠে গেছে। সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ আরও অনেকেই।

এ সম্পর্কিত আরও খবর