আর মার খাব না, আঘাত আসল পাল্টা আঘাত: গয়েশ্বর

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 02:55:24

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, নেতাকর্মীদের বলব, আগামী দিনে শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন। রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন। আপনারা মূল্যায়িত হবেন, জাতির কাছে সম্মানিত হবেন। টেলিভিশনে ছবি তোলার প্রবণতা আমাদের বদলাতে হবে। এখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়। ছাত্র যুবকরা যেই স্লোগান দিত, সেই স্লোগান দিতে হবে। স্লোগান দিতে হবে অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, খালেদা জিয়ার অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, তারেক রহমানের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

কুমিল্লায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ সারাদেশে নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

এতে উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সরাফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্র দলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কুমিল্লায় ড. মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে হামলা হয়েছে, ফেনীতে ভিপি জয়নালের বাড়িতে হামলা হয়েছে। আরও অনেক জায়গায় হামলা হয়েছে। কিন্তু মিডিয়া খোঁজ রাখে না। এটা তাদের (ক্ষমতাসীনদের) পরিকল্পিত মহড়া।

তিনি বলেন, এখন হামলার প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, হামলা হলে পাল্টা হামলা, আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে। যেখানেই হামলা সেখানেই প্রতিরোধ সেখানেই পাল্টা হামলা, এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অন্যায়ভাবে শুধু আমি মার খাব, আমি মার খাওয়ার দায়িত্ব নেব, অন্যরা আমাকে মেরে যাবে-এটা সংবিধানে নেই। আমরা যা করি সংবিধান সম্মত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, কথা বলার অধিকার আছে, আমার মিছিল করার অধিকার আছে, হরতাল-অবরোধ করার অধিকার আছে। এতে যারা বাধা দিবে, তাদের আমরা মোকাবিলা করবো। পোশাকে হোক বিনা পোশাকে হোক আর ছাড় দেওয়ার সময় নেই। আর মুখ বুঝে পিঠে লাঠির মার খাওয়ার সময় নেই। আমরা রাজপথে রক্ত দেব, আর যারা রক্ত নিবে-সেই দিন শেষ জনগণের বাংলাদেশ সামনে অপেক্ষা করছে।

সরকারের মন্ত্রী-এমপি তাদের আত্মীয় স্বজনের দুর্নীতি ও মুদ্রা পাচার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, লুটপাটের জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। জনগণ দেশ স্বাধীন করেছে সুখে থাকার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখার জন্য। আমরা সেই রাষ্ট্রের জন্য লড়াই করছি। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করছি না, জনগণকে ক্ষমতাবান করতে লড়াই করছি। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবেশী একটি দেশ আগামী নির্বাচনের সিট দেওয়ার জন্য ফেরি করছে। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন আপনি সিট দেওয়ার কে? সংবিধানের কোনো পাতায় লেখা আছে? এইসব ফেরিওয়ালারা যেখানে সেখানে ফেরি করতে যান। নেতাকর্মীদের বলব রাস্তায় পেলে পা দুইটা ভেঙে দেবেন। এখন দালাল ধরতে হবে, এই সরকারের ফাঁদে যারা পা দেবে তাদের ঘেরাও করতে হবে। তাদেরকে নজরে রাখতে হবে। আমরা একটা সিদ্ধান্তে একমত হয়েছি, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর