গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অবশ্যই করব: ফখরুল

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-23 17:11:12

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা অবশ্যই বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন করব।

রোববার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে অবস্থিত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শপথ গ্রহণ করেছি দেশের মানুষকে একত্রিত করে, সমস্ত রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে, এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে দেশে ফিরিয়ে আনব। অবশ্যই বাংলাদেশকে আমরা আবার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, এমনকি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার আন্দোলন করব।

তিনি বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতাকে সুসংগঠিত করতে পেরেছিলাম। এর নায়ক ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলাম এবং সফল হয়েছিলাম, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত করার সুযোগ ফিরে পেয়েছিলাম।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছিলাম। মুক্ত একটি অর্থনীতি-সমাজ সৃষ্টি করার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়েছিল। সর্বপরি বাংলাদেশ স্বতন্ত্র নিয়ে-নিজস্ব পরিচয় নিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে আমরা বার বার এ দিনটি স্মরণ করি। এদিনটি আমাদের অনুপ্রেরণা যোগায়।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর স্বৈরাচারি-ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় এসে আমাদের সমস্ত স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছে। চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের সমস্ত স্তম্ভগুলোকে তারা নির্মম হাতে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। এদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই এবং এখানে পুরোপুরি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় এখনো আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। দেশপ্রেমিক মানুষদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জর্জরিত করে রাখা হয়েছে। গুম হচ্ছে, খুন হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর