বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপের আয়োজনে সরকারের আন্তরিকতা প্রমাণ করে না। এ আমন্ত্রণ সরকারের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
বুধবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও তাঁর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রেখেছে। জামিন পেলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। সেই মামলার সাজা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না।’
তিনি বলেন, ‘যদি সত্যিই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চান, তাহলে সাত দফা দাবি মেনে নিতে হবে। সবার আগে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর মুক্তি ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন অর্থবহ হবে না।’
মানববন্ধনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকার খালেদা জিয়া, বিএনপি ও বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রাখতেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া এদেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এতোদিন যাবত যে কৌশল অবলম্বন করেছি, সেটা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকার সংলাপে সম্মত হয়েছে। সাত দফা নিয়ে সংলাপে আলোচনা করবো। সংলাপ আন্দোলন ও নির্বাচন একসঙ্গে চলবে।’
মানববন্ধনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।