অনুমতি মেলেনি তবুও সিদ্ধান্তে অনড় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

বিবিধ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 01:15:59

সিলেটে সফল জনসভার পর এবার চট্টগ্রাম যাত্রা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, জনসভার অনুমতি না পেলেও তাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হবে না। যেকোনো মূল্যে চট্টগ্রামের জনসভাকে সফল করতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবারের (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জনসভাকে সফল করতে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও অনুমতি পায়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, অনুমতি হোক বা না হোক আমাদের কর্মসূচি পরিবর্তন হবে না। আমরা চট্টগ্রামে কর্মসূচি দিয়েছি সেখানে যাবো। কিন্তু প্রশাসন নানা তালবাহানা করছে। সিলেটে সফল জনসভা দেখে সরকারের ভীত নড়ে ওঠেছে। সেই ভয়ে এখন আর কোন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দিচ্ছে না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা সুব্রত চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন,‌ এখনও চট্টগ্রামে জনসভার অনুমতি পায়নি। অনুমতি দিই দিই করে পিছাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আগের সিদ্ধান্ত আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। 

ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাহেদুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখনও পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা চট্টগ্রামে যাচ্ছি। অনুমতির ব্যাপারে কোন অগ্রগতি নেই।

অনুমতি প্রসঙ্গে বেসিক কি কারণ দেখিয়েছে প্রশাসন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্রিকেট খেলা হচ্ছে, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা ইত্যাদি ইত্যাদি দেখিয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় পিছিয়েছে এই বৈঠক। নতুন করে বৈঠকের সময় নির্ধারণ হয়নি।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে রাজশাহীতে ২ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ডাকা জনসভা।

সুত্র বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনসভাসহ বেশকিছু কর্মসূচি দিয়ে সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সরকার ভয় পেয়ে গেছে সিলেটের সফল সমাবেশ দেখে। এজন্য তারা ফ্রন্টের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। তবে সিদ্ধান্ত আছে সরকার যদি সুষ্ঠু , গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে না আসে তাহলে দ্বিতীয় ধাপে আন্দোলন শুরু হবে। তফসিল ঘোষণার পর পরই প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মসূচি দেয়া হবে। এমনকি অবরোধ কর্মসূচিও দেয়া হতে পারে।

ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাহেদুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, আজকে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক ছিল। অনুমতি না পাওয়ায় সেটি হচ্ছে না। আগামী ১ বা ২ নভেম্বর ঐ বৈঠক হতে পারে। এ কারণে পিছিয়ে যাবে রাজশাহীতে ২ নভেম্বরের জনসভা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর