আওয়ামী লীগ সরকার ভোটের পরোয়া করে না বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, তাদের কাছে জনগণের মতামতের কোনো দাম নেই। তাদের কাছে গণতন্ত্র না থাকলেই বা কি যায় আসে? তবে মনে রাখবেন, বাংলাদেশে এখনো বিএনপি আছে। আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে প্রার্থী পাওয়া যায় না।
শুক্রবার (১১ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাব’র আহ্বায়ক প্রফেসর রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশিদ, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, কৃষিবিদ প্রফেসর আব্দুল করিম, প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডি প্রমুখ।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের জয়ী হবার সম্ভাবনা কম। এটা বুঝেই তারা নির্বাচনের আগের রাতেই ভোট করে ফেলে।
তিনি বলেন, এ সরকার উন্নয়নের কথা বলে। তাদের উন্নয়নে যদি জনগণ খুশি হয়, তাহলে তাদের এতো ভয় কিসের? প্রশাসন আর পুলিশ দিয়ে ভোট করতে হবে কেন? জনগণকে মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে নির্দলীয় সরকারের অধীনেই সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। এজন্যে বলবো সবকিছু ছেড়ে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণ যদি খুশি থাকে তাহলে তারাই আপনাদেরকে নির্বাচিত করবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি কখনো জোর করে ক্ষমতায় আসতে চায়নি। সামরিক শাসন জারি করেনি। জরুরি অবস্থা জারি করেনি। বরং গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। জরুরি অবস্থা বাতিল করেছে বিএনপি। সামরিক শাসন প্রত্যাহার করেছে বিএনপি। তারা এখনো জানেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই পরিবর্তন, ভোটের মাধ্যমেই পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, বিএনপি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে জানে। তাই জনগণকে তাদের মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। আর যদি দেশে যথার্থ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা হয়, তাহলেই এ দেশের উন্নয়ন হবে।
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, আজকের গণতন্ত্রের ও এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে কারাগারে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। ৭৬ বছর বয়সে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ তিনি। চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও তিনি যেতে পারবেন না এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে।