২০১৮‘র নির্বাচন একটি যুদ্ধ, মহাজোট ঐক্যবদ্ধ থাকলে জয় নিশ্চিত

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-22 16:06:37

২০১৮ নির্বাচন হল সমাপ্তি খেলা। এ নির্বাচন একটা যুদ্ধ। জনগণ  ঐক্যবদ্ধ আছে। মহাজোট ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরা এ বিজয় নিশ্চিত করতে পারব। তবেই ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত চক্র রাজনীতির প্রতিপক্ষ হবে না।

তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু বার্তা২৪.কমকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একান্ত সাক্ষাৎকারে  এসব কথা বলেন।

২০০৮ সালে মহাজোটের যে নির্বাচনী বিজয় সেই বিজয়টা একটা মোড় বদলের বিজয়। শেখ হাসিনা সরকার সেই নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ সালে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রায় ১০ বছরের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সেগুলোতে আইনগত, সংবিধান, অর্থনীতি ও রাজনীতিগত সুদূরপ্রসারী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

এ বিষয়টি আমি এভাবে বলি, ৭১ সালে মহাযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ও পাকিস্তানের লালন করা রাজাকার খুনি চক্রকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিয়োগ করি। তারপরে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে আমরা দেখি জিয়া ও সামরিক চক্র ৭১ এ বাদ হয়ে যাওয়া রাজাকার ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি তাদেরকে আমদানি করে আবার পুনর্বাসন করে।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনা সরকারের যাত্রা সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে যাত্রা। ৭৫ সালের পরে রাজনীতির যে বিষবৃক্ষ জেনারেল জিয়া রোপন করলো বিএনপির নামে, সে বিষবৃক্ষ যা সকল খুনিদের ঠিকানা হিসেবে নিজেকে দাড় করাল।

আরও পড়ুন ‘নির্বাচনে জিততে মহাজোট এখন অনেক বেশি শক্তিশালী’

আমরা নির্বাচন মোকাবিলা করছি। অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে সাজা দিচ্ছি এবং তাদের রাজনীতির বাইরে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে। যেমন যুদ্ধাপরাধের, বঙ্গবন্ধু হত্যার, মানুষ পোড়ানো,২১ আগস্ট তথা হত্যা খুনের বিচার হচ্ছে। এটা হলো আইন ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ।

তথ্য মন্ত্রী বলেন, একবার রাজাকারের সরকার, একবার মুক্তিযুদ্ধের সরকার- এভাবে মিউজিক্যাল চেয়ার খেলায় যদি ঘুরতে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি হলো রাজনৈতিক বিষবৃক্ষ। যে বিষবৃক্ষ বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথ থেকে হঠিয়ে সাম্প্রদায়িকতার পন্থার দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্তে লিপ্ত থাকে। এখানে যে পরিবর্তন সাধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করলেন, এটা আটকানোর চেষ্টা করল খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াত জোট। বিগত দশটা বছরের লড়াইটা হচ্ছে, সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিক শাসনের রাজনীতি বন্ধের। এ হিসেবে আমরা ২০১৪ সাল পার করেছি। এখন ২০১৮ সালের নির্বাচন এসেছে। এই নির্বাচনটাকে সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাস দমনে যুদ্ধের চশমা দিয়ে দেখতে চাই। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর