জোট শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০ আসন ছাড়া হবে: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-21 23:44:18

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের জোটের শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা আছে। এখানেও কথা আছে, এটা কোনো ধরাবাঁধা বিষয় না। ভালো প্রার্থী হলে দেওয়া হবে। উইনেবল প্রার্থীকে আমরা মনোনয়ন দেব। অ্যালায়েন্সের যেকোনো দলেরই হোক, আমরা তাদের অ্যাকসেপ্ট করব। প্রার্থী উইনেবল হলে আমরা মনোনয়ন দেব।’

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনের আগে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এ মাসেই কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে। জোট নিয়েও পরোক্ষভাবে আলাপ-আলোচনা চলছে। যারা দলের এত দিনের শরিক, তাদের বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অনেকে আসতে চাচ্ছে, তাদের সঙ্গেও কথাবার্তা শুরু হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে চূড়ান্ত আকার নেবে। বেশি দূর গেলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে পারে।

সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থা এবং দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, জেলা পর্যায়ে তৃণমূলের অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনে ট্রেনে করে উত্তরাঞ্চলে সাংগঠনিক সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এত ব্যর্থ অপজিশন, এত ব্যর্থ বিরোধী দল আর আসেনি। এই ব্যর্থতার জন্য বিএনপির টপ টু বটম সকল নেতার পদত্যাগ করা উচিত।’

‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইক দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে আওয়াজ দিলেই কি সরকার হটে যাবে? এই সরকারের গণভীত খুবই শক্তিশালী, এই সরকারের গণভীত বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত’- বলেও মন্তব্য করেন কাদের।

ইভিএম নিয়ে বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএম আমাদের নতুন কোনো দাবি নয়। সারা দুনিয়ায় আধুনিক স্বচ্ছ এবং স্বল্প সময়ে ভোট প্রদান, গণনা এবং ফলাফল জানা যায় ইভিএমে। এটা সর্বশেষ প্রযুক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপির কেন ভয় সেটা আমরা বুঝে ফেলেছি। বিএনপির ভয় হচ্ছে ইভিএমে ভোট হলে বিএনপি আর কেন্দ্র দখলের পুরোনো অভিযোগ আনতে পারবে না। ভোট জালিয়াতির কথা বলতে পারবে না। ভোট কারচুপির কথা বলতে পারবে না। বিএনপি আর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার পুরোনো অভিযোগ আনতে পারবে না, এ কারণেই বিএনপি ইভিএম চায় না।’

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, এনামুল হক শামীম, প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, আইন বিষয় সম্পাদক শ.ম রেজাউল করিম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর