সরকারি মামলা পরিচালনায় অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন করা হবে

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-29 18:05:58

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকারি কৌসুলিদের মামলা পরিচালনার সুবিধার্থে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। তবে তা বাস্তবায়নের কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা এখনো নির্ধারিত হয়নি বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

জাতীয় পার্টির অপর সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’-এর খসড়া প্রস্তুতের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটি কর্তৃক খসড়া প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। এছাড়াও সকল স্টেক হোল্ডারদের অংশগ্রহণে একটি মত বিনিময় সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই উক্ত সভা অনুষ্ঠানপূর্বক প্রাপ্ত মতামত/মন্তব্য/পরামর্শ/সুপারিশের আলোকে বৈষম্য বিলোপ আইনের খসড়া প্রণয়নের পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের লিখিত জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতসমূহের ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ৬৩৯টি। এর মধ্যে বিচারাধীন দেওয়ানী মামলার সংখ্যা ১৪ লাখ ৫৩ হাজার, ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ২০ লাখ ৯০ হাজার এবং অন্যান্য মামলার সংখ্যা ৯৭ হাজার। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ১৩ হাজার এবং অধস্তন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩১ লাখ ২৭ হাজার। বিচারাধীন মামলাসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

পুলিশের সাবেক আইজি ও সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি প্রতিষ্ঠান। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগোষ্ঠীকে আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করে।

তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সর্বমোট ৪ লাখ ৮৭ হাজার ১৪ জন বিচারপ্রার্থী জনগণ লিগ্যাল এইড সেবার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইন অনুসারে আইনগত সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। তিনি জানান, ২০০৯ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার বাজেট যেখানে ছিল মাত্র এক কোটি টাকা, সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাজেট দাড়ায় ২০ কোটি টাকা। এ থেকেই ধারণা করা যায়, সরকার জনগণের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এভাবে ক্রমান্বয়ে বাজেট বৃদ্ধি করছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর