১০ বছরে বিএসএফ’র হাতে ২৯৪ বাংলাদেশি নিহত

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-30 05:51:20

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত গত ১০ বছরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক ২৯৪ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিজিবি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিএসএফও একমত পোষণ করে আসছে। সরকার এ ব্যাপারে কূটনৈতিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা/আহত/আটক ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিনিয়ত বিজিবি এবং বিএসএফ’র বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়মিতভাবে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সকল পতাকা বৈঠকে সীমান্তের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করে হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকার ও কূটনৈতিক পর্যায়েও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সরকার দলীয় অপর সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০০৬ সালের জানুয়ারি হতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গত সাড়ে ১৪ বছরে কর্তব্য পালনরত অবস্থায় ১ হাজার ৫০ পুলিশ নিহত ও ৪ হাজার ৪৪০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ (জুন পর্যন্ত) বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্ত/সন্ত্রাসী/ জঙ্গিদের হামলায় সর্বাধিক বিভিন্ন পদবির ২৮ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের নীতি হলো জিরো টলারেন্স। সেখানে পুরুষ হোক বা নারী হোক তাকে নির্মূল করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ সদা তৎপর রয়েছে। বর্তমান সরকার জঙ্গি দমনে বিশেষায়িত এই সংস্থাসমূহে দক্ষ জনবল ও আধুনিকায়নের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করে হচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের একটি আলাদা ইউনিট এন্টি টেরোরিজম ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এছাড়া বিএমপিতেও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ক্রাইম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ইউনিটে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে স্পেশাল টাস্ক গ্রুপ (এসটিজি) গঠন করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর