নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে আগ্রহ নেই যাত্রীদের

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে | 2023-08-30 05:51:25

দ্রুতগতির ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে যাতায়াতে যাত্রীদের তেমন আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি জানান, রাজধানীর চারপাশে নৌপথ চালু করায় (প্রথম পর্যায় ২০০০-২০০৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ২০০৮-২০১৩) দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে সদরঘাট থেকে আশুলিয়া এবং আশুলিয়া থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত ১২০ ফুট প্রশস্ত ও ছয় ফুট ড্রাফট বিশিষ্ট নৌপথ চালু করা হয়। বর্তমানে নৌপথটি উক্ত ড্রাফটে চালু আছে।

বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ঢাকার চারপাশের নৌপথে ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশনে (ঘাট) বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে মালপত্র পরিবহন করা হয়। ল্যান্ডিং স্টেশনগুলো পণ্য ওঠানো-নামানোর জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকায় ঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হয়েছে। নৌপথটিতে কার্গো চলাচল করে। ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে বিআইডব্লিউটিসি’র মাধ্যমে বর্তমানে বাদামতলী থেকে গাবতলী এবং টঙ্গী থেকে নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে নিয়মিত ওয়াটার বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। কিন্তু দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকায় এবং নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীরা ওয়াটার বাসে যাতায়াত করতে চান না।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকা শহরের চারদিকের নদীর তীরবর্তী এলাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীর নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সেখানে অবকাঠামো সুবিধা নির্মাণ প্রকল্পের (২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত) মাধ্যমে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও দু’টি ইকোপার্ক করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ৪৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারদিকের নদীর তীরবর্তী প্রায় ১৩৫ দশমিক ৫০ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিলামের মাধ্যমে সাত কোটি ৫৮ হাজার টাকা এবং ২৭ লাখ ছয় হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার স্থাপন, বনায়ন, তিনটি ইকোপার্ক নির্মাণ, ছয়টি পন্টুন, ৪০ কিলোমিটার দেয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পাড এবং ৪০৯টি বসার বেঞ্চ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। যা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর