জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৯ কোটি ৪৪ লাখ বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, দেশে ইন্টারনেটের দাম কমেনি এমন তথ্য সঠিক না। বরং দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের দামও উল্লেখযোগ্যহারে কমিয়ে আনা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত ইন্টারনেটের মূল্য প্রতি মেগাবাইট ১ টাকা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকালে সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ৬০ লাখ, যা বেড়ে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত ৯ কোটি ৪৪ লাখ হয়েছে। এছাড়া সরকারি খাতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লি. (বিটিসিএল) অত্যন্ত সুলভমূল্যে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ চার্জ বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে কমিয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চার্জ ছিল ২৭ হাজার যা বর্তমানে সর্বনিম্ন ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক ইন্টারনেট সেবার মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস করেছে। ২০১৮ সালে যেখানে ১ জিবি ইন্টারনেটের সেবা মূল্য ছিল ২২১ টাকা তা বর্তমানে কমিয়ে সর্বসাধারণের জন্য ৪৬ টাকা এবং ছাত্রদের জন্য ৪৩ টাকা (৩০ দিন মেয়াদী) নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারে দলের অপর সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেটের সরকার নির্ধারিত মূল্য হলো প্রতি মেগাবাইট ১ টাকা। বর্তমানে এই মূল্যের কমেই প্রতিষ্ঠানসমূহ ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ইন্টারনেটের মূল্য পুনর্বিবেচনার জন্য বিটিআরসি হতে ডাটা কস্ট মডেলিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। মানসম্মত ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিটিআরসি নিয়মিত ড্রাইভ টেস্ট পরিচালনা করে। তাছাড়া এমএনপি সুবিধা টাওয়ার শেয়ারিং সুবিধা এবং ৪জি চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেবার মান মনিটরিং করা হচ্ছে এবং সকল অপারেটরকে সেবার মান উন্নত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।