‘এনআইডি কার্ডধারী সবাইকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব’

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে | 2023-08-31 02:53:34

বাজেটের ঘাটতি মেটাতে এবং কর নেটের আওতা বাড়াতে নতুন প্রস্তাব করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, ‘দেশে কর দিতে পারেন এমন ৯২ লাখ লোকের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে। কর দেওয়ার যোগ্য যাদের এনআইডি আছে, তারা সবাই কর দাখিল করলে এবং ব্যবসায়ীরা টিআইন এর মাধ্যমে কর দাখিল করলে কর দেওয়ার হার বাড়বে।’

শনিবার (২৯ জুন) সকালে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রস্তাব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ ১০ বছরে দেশের জনগণের উন্নয়ন হয়েছে। তাই এ উন্নয়নকে মানবিক উন্নয়ন বলে আখ্যায়িত করি। সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের কারণে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে অবকাঠামো উন্নয়ন, মানবসম্পদ ও প্রচুর কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যা দেশের উন্নয়নের জন্য যে প্রয়োজন। ১০ বছরে সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ ভাগে নেমে এসেছে। এ বাজেট বাস্তবায়িত হলে দারিদ্রের অভিশাপ থেকে আগামী পাঁচ বছরে দারিদ্রের হার পাঁচ শতাংশে নেমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। প্রতি বছরই প্রধানমন্ত্রী সরকারি-বেসরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে একটা চুক্তি করেন। তবুও কাজ বিলম্বিত হয়। তাই কাজ যেন আরো সহজ হয়, গতিশীল হয়, আমলাতান্ত্রিক জটিলতামুক্ত হয়, সেজন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এখন সময়ের দাবি।’

কর নেটের আওতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের লোকসংখ্যার অনুপাতে কর দাতার সংখ্যা অত্যন্ত কম। সেক্ষেত্রে কর দাতার সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমার একটি প্রস্তাব হচ্ছে, যাদের এনআইডি আছে, তাদের মধ্যে কর দেওয়ার যোগ্য ৯২ লাখ। এ ৯২ লাখ এনআইডি কার্ডধারী সবাইকে কর দিতে হবে। তারা কর দেবেন কি না সেটা দ্বিতীয় কথা। সব কোম্পানি টিআইএন এর মাধ্যমে কর দেবে। এটা করলে ১১ শতাংশ থেকে অনেক বেশি বাড়বে এবং ঘাটতিও কমবে।’

নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফল্যের এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিদেশে এক লাখ ২০ হাজার লোক থাকেন। তাদের যাতে আরো ভালো সাহায্য করতে পারি, সেজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। যেমন- ২৪ ঘণ্টার হটলাইন চালু করেছি, অভিযোগ বাক্স স্থাপন করেছি, ৩৪ ধরনের সেবা দিতে দূতাবাস নামে একটা অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছি। যেন বাড়িতে বসে সেবা নিতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি দূতাবাসে দেশি টিভি দেখার ব্যবস্থা করেছি। দুর্নীতিমুক্ত দূতাবাসে গণশুনানির আয়োজন করেছি। প্রবাসীরা যেন বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর