তারেকের অবৈধ দাবির কারণে বিনিয়োগ করেনি টাটা

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে | 2023-08-25 08:03:31

বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে দেশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। তারেক রহমানের হাওয়া ভবনের অবৈধ দাবির কারণে এ দেশে সিমেন্স ও ভারতের টাটা কোম্পানি বিনিয়োগ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

হানিফ বলেন, বিএনপির আমলে সরকারের পরিবর্তে হাওয়া ভবন থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের নির্দেশেই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হতো। তাদের দুর্বৃত্তায়নের কারণে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। হাওয়া ভবনের কর্ণধার তারেক রহমানের অবৈধ দাবির কারণে সিমেন্স, ভারতের টাটা কোম্পানি এ দেশ থেকে চলে গেছে। জঙ্গিবাদের উত্থাপন হয়েছে। এই হাওয়া ভবন থেকেই ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে চলে যাচ্ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে অন্ধকার দেশকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোন গোলটেবিল আলোচনা কিংবা ড্রামের ওপর হুইসেল বাজিয়ে হয়নি। ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পায়। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার একজন পাঠক। কিন্তু জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, বরং পাকিস্তানের এজেন্ট ছিলেন। খালেদা জিয়া ও তার দল বিএনপি খায় ও থাকে বাংলাদেশে কিন্তু তাদের হৃদয়ে পাকিস্তান। দেশের জনগণ তাই এদের প্রত্যাখ্যান করেছে।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, তৎকালীন সময়ে স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেছিল। কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করে। ভারতের রতন টাটা বিনিয়োগের জন্য এসেছিল কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে ফিরে যায়।

হানিফ বলেন, আজ সংসদে নতুন করে স্বাধীনতার ঘোষণা যেটা মীমাংসিত বিষয় সেটাকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মেজর জিয়াকে। মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক ছিলেন, এটা আমরা স্বীকার করি। তিনি জোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকটা জোর করে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়। জিয়া ছিলেন দ্বিতীয় পাঠক। প্রথমে এম এ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। অথচ আজ তাকে নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই জিয়াউর রহমান কখনও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তার কোনো কর্মকাণ্ডে এটা মনে হয়নি।

মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরো বলেন, জিয়া দালাল আইন বাতিল করে স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি দালালদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতা দখল করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী বানান। জাতির মধ্যে বিভাজন, বিভক্তি সৃষ্টি করেন। একটি ধারা স্বাধীনতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধের ধারা, আরেকটি পাকিস্তানি চেতনার ধারা। খালেদা জিয়া এসে এই পাকিস্তানি ভাবধারার নেতৃত্ব দেন। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের একজন সেনা কর্মকর্তা জানজুয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় পটকল ভেঙে শোকবার্তা পাঠান। তিনি জানজুয়ার কবরও জিয়ারত করেছিলেন। আসলে এরা থাকে বাংলাদেশে, খায় বাংলাদেশে কিন্তু তারা হৃদয়ে ধারণ করে পাকিস্তান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর