পুঁজিবাজার এখন নিয়ন্ত্রণে নেই: অর্থমন্ত্রী

, সংসদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 00:03:01

দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী হলেও বর্তমানে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রণ নেই বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, 'পুঁজিবাজার শক্তিশালী করার জন্য যা যা করার তাই করা হবে'।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'একটা দেশের অর্থনীতি যত শক্তিশালী হয়, তার প্রতিফলনটা আমরা দেখতে পাই পুঁজিবাজারে। পৃথিবীর সারাদেশেই এভাবে পুঁজিবাজার আর অর্থনীতি সম্পৃক্ত থাকে। আমাদের দেশের অর্থনীতি অত্যন্ত চাঙা ও শক্তিশালী। কয়েক দিন আগে আইএমএফ এর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছি। সেখানেও তারা আমাদের গতিশীলতা দেখে তারা অত্যন্ত উচ্ছ্বাসিত। সে সময় আরও যারা মিটিং করেছেন তারা সবাই বলেছেন, বাংলাদেশকে অনুসরণ করার জন্য।'

মুস্তফা কামাল বলেন, 'আমাদের এগিয়ে যাওয়া থমকে যাবে, যদি আমাদের পুঁজিবাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি। আমি বলব, পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নাই। তবে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নাই, এটা বলব না। তবে পুঁজিবাজারে যে সকল সমস্যা আছে এরই মধ্যে আমরা চিহ্নিত করেছি। সবগুলোই এক এক করে সমাধান দেব।'

এ সময় প্রশ্নকারীকে আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, 'আমি আশ্বস্ত করতে পারি, সরকার অর্থনৈতিক এলাকায় যেমনিভাবে চিন্তা করে, তেমনি পুঁজিবাজার নিয়েও ততটা যত্নশীল। আমি নিজেও পুঁজিবাজারের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের সবাইকে নিয়ে এক দুই দফা মিটিং করেছি, আরও মিটিং করব। মিটিং করে পুঁজিবাজারকে আর ১০টি দেশে যেভাবে চলে সেইভাবেই চালাবার জন্য চেস্টা করব। আমাদের বিচ্যুতিগুলো অবশ্যই দূর করব।'

আসন্ন বাজেটে পুঁজিবাজারে জন্য প্রণোদনা থাকবে কি না এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আগামী বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা থাকবে। কতটা থাকবে সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না। তবে পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করার জন্য যাই কিছু করার প্রয়োজন তাই ব্যবস্থা করব।'

চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই ও সিএসই) শুরু হয়েছে দরপতন। তিনমাস ধরে চলা দরপতনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭০০ পয়েন্ট আর সিএসইর সূচক কমেছে ২ হাজার বেশি পয়েন্ট। এই সময়ে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

আর তাতে সাড়ে ২৮ লাখ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ মূলধন কমেছে ৬৪ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ডিএসইর বিনিয়োগাকরীদের ক্ষতি হয়েছে ৩২ হাজার ৪৮৮ কোটি ৫৫ লাখ ১২ হাজার টাকা।

আর সিএসইর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে ৩১ হাজার ৯৫৫কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা ২০১০ সালের ধসের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ২০১০ সালেরে ধসে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছিল ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো।

এদিকে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে টানা ৯ দিন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর সোমবার (২৯ এপ্রিল) থেকে অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ সভাপতি মিজান উর রশিদ চৌধুরী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর