একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে কমিটি সদস্য ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। অর্থাৎ মাত্র পাঁচ কার্যদিবস চলবে দ্বিতীয় অধিবেশন। এরপর জুনে শুরু হবে নতুন সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন। সেই অধিবেশনের আগে এটি নিয়ম রক্ষার অধিবেশন। তবে প্রয়োজনে স্পিকার এই সময় পরিবর্তন করতে পারবেন।
কমিটির সদস্য রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, মো: ফজলে রাব্বী মিয়া, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও নূর-ই-আলম চৌধুরীও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে শ্রীলঙ্কায় সংঘটিত গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। সাবেক মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি শিশু জায়ান চৌধুরীর নির্মম মৃত্যুতেও শোক ও দু:খ প্রকাশ করে কমিটি। এ অধিবেশনে ১৪৭ বিধিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ আলোচনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সংসদে উত্থাপনের জন্য এ পর্যন্ত একটি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া গেছে। এছাড়া গত অধিবেশনে অনিষ্পন্ন পাঁচটি বিলসহ মোট ছয়টি সরকারি বিল রয়েছে। পাসের অপেক্ষায় তিনটি, কমিটিতে পরীক্ষাধীন দুইটি ও উত্থাপনের অপেক্ষায় একটি সরকারি বিল রয়েছে। বেসরকারি সদস্যদের থেকে কোনো বিলের নোটিশ পাওয়া যায়নি। পূর্বে প্রাপ্ত ও অনিষ্পন্ন একটি বেসরকারি বিল রয়েছে।
দ্বিতীয় অধিবেশনে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৪৪টি প্রশ্নসহ প্রাপ্ত মোট প্রশ্নের সংখ্যা এক হাজার ৮৪টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। সিদ্ধান্ত প্রস্তাব (বিধি ১৩১) ১০৪টি, বিশেষ অধিকার প্রশ্নের নোটিশের সংখ্যা (বিধি ১৬৪) একটি, মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ (বিধি ৭১) ৮৮টি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার (বিধি ৬৮) দুইটি নোটিশ পাওয়া গেছে।
সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বৈঠকের কার্যপত্র উপস্থাপন করেন।